কলকাতা: কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক নদী এখন ফুঁসছে। সাম্প্রতিক বর্ষণ এবং ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা— হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়ায় জেলা বানভাসি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্লাবিত গ্রামে পর গ্রাম। বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ২২ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীরা বন্যাকবলিত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ, শনিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আকাশপথে পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল পৌনে বারোটা নাগাদ হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে রওনা দেবেন তিনি। আকাশপথে প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আরামবাগের দৌলতপুরে হেলিপ্যাডে নামবেন মমতা। জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দিনভর দৌড়লেন প্রিয়াঙ্কা, একবারই দেখা মিলল মমতার, ভবানীপুরে এগিয়ে কে?
রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য শুক্রবার ডিভিসিকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে একবারও জানানো হয়নি বলে অভিযোগও করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘ঝাড়খণ্ড, বিহারে বৃষ্টি হলে তার জন্য ভুগতে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। সামাল দিতে হচ্ছে আমাদেরকে।’ দক্ষিণবঙ্গে একটানা বৃষ্টিতে বহু এলাকা জলমগ্ন। তা নিয়েও তিনি বলেন, ‘শুধু বৃষ্টির কারণে বন্যা হলে বোঝা যেত, কিন্তু এই বন্যা ম্যান মেড’। খাল এবং বাঁধ সংস্কার না করার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজোর আগে বাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীদের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে শুক্রবারই জানান মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোলে তদারকি করছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটক। হুগলির পরিস্থিতি দেখছেন ফিরহাদ হাকিম ও বেচারাম মান্না। এছাড়া বন্যাত্রাণের জন্য সাধারণ মানুষকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য করার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা, তা হলে কি ত্রিপুরায় দুর্গাপুজো হবে না? বিজেপিকে নিশানা মমতার