ওয়েবডেস্ক- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাধের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু করে রাজ্য সরকার। তার পর থেকেই এই প্রকল্প মাইলফলক ছুঁয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে তপশিলি জাতি/উপজাতি মহিলাদের ১২০০ ও অন্যরা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। প্রতি মাসে এই টাকা ব্যাঙ্কে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ভোটবাক্সে (Vote) সাফল্য বলা যায়। এই প্রকল্পের থেকে পাওয়া টাকা জমিয়েই বহু মহিলাই আজ স্বনির্ভর হিসেবে নজির গড়েছেন। রাজ্য সরকারের সব কটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের নিরিখে প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-‘কোনও জঙ্গি যেন শেল্টার নিতে না পারে’, পুলিশকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকালই ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন। আজ বুধবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প শুধুমাত্র ভারতের মধ্যে সীমাবদ্ধ এমনটা নয়। সারা পৃথিবীতে আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছি। বিরোধীদের নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন অনেকে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বলছে এত টাকা দেবে। কিন্তু ভোট এলেই ওরা এত কথা বলে কেন? পরে সব ভুলে যায়। আমি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেই দায়িত্ব আমি পালন করি। আমি আমার কথা থেকে কখনও সরে আসিনি। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমাদের গর্বের প্রকল্প। এই প্রকল্প নারীদের সম্মানের প্রকল্প। কোনওদিন বন্ধ হবে না, সারাজীবন চলবে।
দেখুন আরও খবর-