ওয়েব ডেস্ক: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই সমুদ্র সৈকতে উপচে পড়েছে ভিড়। গত কয়েক বছরে রথযাত্রায় মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়েছে পুরীর মন্দিরে। এবার পুরীর পাশাপাশি দিঘার মন্দিরেও রথযাত্রায় ভক্তদের ভিড় হবে, এমনটাই মনে করছেন সকলে। ইতিমধ্যেই একাধিক কড়া নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে দিঘার ক্ষেত্রে। তবে রথযাত্রার শুভ উদ্বোধন ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই বুধবারই সমুদ্র সৈকতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চলতি বছরই দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রাও পালন হয় মহা ধুমধামে। এরপর আগামী শুক্রবার ২৭ জুন, রথযাত্রা। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই শুভারম্ভ হতে চলেছে। বুধবারই দিঘায় যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অংশগ্রহণ করতে পারেন জগন্নাথ মন্দিরের নেত্র উৎসবে। ঠিক ছিল রথযাত্রার আগের দিন বৃহস্পতিবার দিঘায় পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাঁর সফরসূচির কিছু রদবদল করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।
আরও পড়ুন: রথের দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
সৈকত শহরে প্রথম রথযাত্রার অনুষ্ঠানে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই রথযাত্রাকে ঘিরে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই নবান্নে দিঘার রথযাত্রা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। হোটেল গুলির রিসেপশনে রুম ভাড়ার চার্ট লাগানো বাধ্যতামূলক করেছে জেলাশাসক। আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তাও। মন্দিরের চার কোণে চারটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। সৈকতশহরের পাশাপাশি জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী রথের দিন সোনার ঝাঁটা দিয়ে ঝাঁট দেওয়ার পরে গড়াবে রথের চাকা। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা যাবেন দিঘার পুরনো মন্দিরে মাসির বাড়ি। দিঘার নতুন মন্দির থেকে পুরনো মন্দিরের দূরত্ব এক কিলোমিটার। পর্যটকদের যেন কোনও সমস্যা না হয় তাই ১ কিলোমিটারেরই বড় রশির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর