দিঘা: ২৭ জুন, রথযাত্রা। বুধবারই দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার সৈকত শহরে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। সেখান থেকেই নির্বাচনকে কমিশনকে (Election Commission) সরাসরি তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাত পোহালেই রথযাত্রা। এবছর বাংলার মানুষের কাছে রথযাত্রাকে ঘিরে উচ্চশিত হওয়ার মূল কারণ দিঘার রথযাত্রা। চলতি বছরই অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিঘায় নতুন জগন্নাথ দেবের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, এবারই দীঘা রথযাত্রার উদযাপনের প্রথম বর্ষ। বিপুল পরিমান জনসমাগম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবছর দিঘায়। যার জেরে ইতিমধ্যেই একাধিক কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। মন্দির চত্বর থেকে শুরু করে রথযাত্রার সমস্ত প্রস্তুতি মুখ্যমন্ত্রী নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি! ফের ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
সেই কারণে রথের আগেই বৃহস্পতিবার দিঘা রথযাত্রার সুরক্ষা সম্পর্কীয় সমস্ত প্রস্তুতির বিষয় নিয়ে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিঘায় এদিন সকাল থেকে রথযাত্রা নিয়ে বৈঠক করলেও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয় তুলে তোপ দাগেন তিনি। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দেশজুড়ে ভোটার তালিকার সর্বাঙ্গীন সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission Of India)। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একগুচ্ছ নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। তবে কমিশনের এই পদক্ষেপকে নিশানা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, বিহারের নাম করে আসলে বাংলাকেই নিশানা করছে কমিশন। পাশাপাশি, এই বিষয়টি নিয়ে এনআরসি (NRC) ইস্যুতেও ফের সুর গরম করলেন মমতা।
এছাড়াও, এদিন ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়েও নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন এনআরসি প্রসঙ্গ নিয়ে বলেন, ‘এটা কি এনআরসি প্রতিষ্ঠা করার কাজ চলছে? এটা এনআরসি-র থেকেও ভয়ঙ্কর…তরুণ, অল্পশিক্ষিত সাধারণ মানুষ, পরিযায়ী শ্রমিক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
মমতার দাবি, বিহারের নাম করে কমিশন বাংলাকে নিশানা করতে চাইছে। কারণ বিহারে সরকারে বিজেপি। ওরা আসলে বাংলা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নিশানা করছে। বিজেপি যা বলছে, কমিশন তা-ই করছে। ওরা আসলে ভয় পেয়েছে। কেন উল্লেখ করা হচ্ছে যে ১৯৮৭ থেকে ২০০২-এর মধ্যে যাদের জন্ম, তাদের তা লিখতে হবে ফর্মে? তার মানে কি তার আগে বা পরে যারা জন্মেছে, তাদেরটা হবে না?” এহেন ডিক্লারেশন ফর্মের মাধ্যমে কমিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা না বলে নির্বাচন কমিশন কখনওই এটা করতে পারে না। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, আপনারাও বিষয়টি নজরে রাখুন। ফর্মে দেখে নিন ভালো করে। আপত্তিজনক কিছু মনে হলে তা করবেন না।
দেখুন ভিডিও