কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয় (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার বর্তমান চিত্রটা। ছাত্রের মৃত্যুতে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ব়্যাগিং রুখতে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্তের কথা বলছে যাদবপুর কতৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। ক্যামেরার জন্য বাইরের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ছাত্র মৃত্যুর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেন হস্টেলে গাঁজা চাষও হত, শুধু তাই নয় ক্যাম্পাসে বস্তা বস্তা মদের বোতলও উদ্ধার হয়েছে। সেই ছবিই ধরা পড়ল কলকাতা টিভির ক্য়ামেরায়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে বলেছেন। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তরফে একাধিক বার সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জানানো হয়েছে। এরপরই শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, হস্টেলের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে ক্যামেরা বসানোর জন্য। আপাতত মোট ২৬টি সিসি ক্যামেরার অর্ডার দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:যাদবপুরের ওপেন থিয়েটারে সারি সারি মদের বোতল
সূত্রের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০টিরও বেশি স্পর্শকাতর জায়গা রয়েছে। যার মধ্যে হস্টেলের বারান্দা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউন্ডারি একাধিক জায়গা রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউন্ডারিতে রয়েছে রেল লাইন সংলগ্ন একাধিক এলাকা, রয়েছে হস্টেল,অধ্যাপকদের কোয়ার্টার। রেল লাইন সংলগ্ন অঞ্চল বেশি স্পর্শকাতর। মনে করা হচ্ছে নিরাপত্তার স্বার্থে এই সব এলাকায় ক্যামেরা বসতে পারে।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুতে র্যাগিংয়ের জেরেই প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে এভিযোগহ উঠেছে। ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ। ধৃতেরা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অথবা বর্তমান ছাত্র। যদি হস্টেলে সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকত তবে সেই রাতে ছাত্রের সঙ্গে কী কী হয়েছিল, তা জানা যেত। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী সিসি ক্যামেরার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, কেন যাদবপুরে তা মানা হবে না? তার পর থেকেই সিসি ক্যামেরার দাবি আরও জোরালো হয়েছে।