নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রামে দুটি ব্লকে বিজেপির হয়ে ভোট দাঁড়ানোর জন্য হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট যত এগিয়ে আসছে হেনস্থা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এ নিয়ে আদালতে মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, নন্দীগ্রাম রাজনীতির ভরকেন্দ্র। তাই নন্দীগ্রামে বিরোধীদের হেনস্থা করে ভোটার ময়দান থেকে দূরে রাখা হচ্ছে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার এজলাসে হেনস্থা ঠেকাতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হাজির হলেন ৩০ থেকে ৪০ জন বিজেপি প্রার্থী ও সমর্থক। তাঁদের আর্জি, অন্তত ভোট পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা জারি করুক আদালত। মামলাকারীদের অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি আগামীকাল শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।
আরও পরুন: Panchayat Election 2023 | Dinhata | দিনহাটায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ, গুলিতে মৃত্যু তৃণমূলকর্মীর, আহত ৫
এদিকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব থেকে কার্যত বোমা-বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। চলছে গুলি, উদ্ধার হচ্ছে ব্যাগ ভর্তি বোমা। সোমবার রাতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের জোমকল। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সিপিএম এবং তৃণমূলের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ। সোমবার কোচবিহার (Cooch Behar) থেকে মমতা পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা। এবার মানুষের পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। ঠিক তারপরের দিনই তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হেয় উঠল দিনহাটা।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে দিনহাটার জারিদল্লাহ গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। নিমেষের মধ্যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। সংঘর্ষের মাঝেই চলে গুলি। ঘটনায় জখম হয় ৫ জন। বাবু হক নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশের দাবি, গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনা। যদিও শাসকল কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপিকে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার জেরে থমথমে এলাকা। আহতদের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, বিজেপির গুলিতে আহত হয়েছেন তাঁরা।