কলকাতা: বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি নেতাকে রক্ষা কবজ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশের আগে এই মামলায় পুলিশ কোনরকম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চের তরফ থেকে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বাসিন্দা বিজেপি নেতা গৌড়হড়ি মণ্ডলের অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুরের বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে বাধা দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফ থেকে। পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে শুরু হয় বচসা। তৃণমূলের তরফ থেকে শুরু হয় গণ্ডগোল। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সংখ্যা বেশি থাকলেও বাধা দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যদের মারধরও করা হয় তৃণমূল সদস্যদের তরফ থেকে। অভিযোগ তোলা হয় বিজেপির তরফ থেকে। তাদের আরও অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের সদস্যদের উপর চরাও হয়। আর তারপরেই বিজেপির তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফ থেকে। পরে জেনারেল ডায়েরি রুজু করে। কিন্তু রক্ষাকবচ দিতে হবে এই দাবি নিয়ে বিজেপি নেতা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সেবাশ্রয়ের উদ্যোগে প্রাণে বাঁচল ৭ বছরের শিশু
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাইলে পুলিশের ডিএসপি একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আর তাতেই খুশি হয়নি কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ পাওয়ার পরেও কেন পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, কেন উদাসীন মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন এই নিয়ে পুলিশের ভূমিকার উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দেখুন অন্য খবর