কলকাতা, ১৮ মে: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ। সুপারিশ করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ এ দিনই সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে সিবিআই দফতরে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
পাশাপাশি, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে পাঁচ সদস্যের যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি হয়েছিল, তাঁর সদস্যদেরও বিকেল চারটের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসএসসি-র তৎকালীন প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য এবং উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্হা নিয়োগের ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরি করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে এমনও বলতে শোনা গিয়েছিল, কোনও মতেই এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া চলবে না। প্রয়োজন হলে সিবিআই পার্থকে হেফাজতেও নিতে পারে। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন পার্থ আইনজীবী। সেই আবেদনের শুনানিতেই ডিভিশন বেঞ্চ পার্থর হাজিরার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
কী ধরনের অভিযোগ কমিশন ও পর্ষদের কর্তাদের বিরুদ্ধে?
বাগ কমিটি বলছে, শান্তিপ্রসাদ সিনহা ৩৮১ জন অসফল প্রার্থী নিয়োগের সুপারিশপত্র নিজের হাতে নিয়ে যান পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময়ের চেম্বারে। পর্ষদ সভাপতিও এই ৩৮১ জনের নাম কেন সুপারিশ করেছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কমিটি। কমিটি মনে করে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ফৌজদারি মামলা করা উচিত।
এখানেই শেষ নয়, কমিশনের চেয়ারপার্সনের স্ক্যান করা স্বাক্ষর ব্যবহার করে সুপারিশ পত্র তৈরি করা হয়েছে। সমরজিৎ আচার্য নিজে ৩৮১টি সুপারিশ পত্র তৈরি করেছিলেন।এছাড়া আরও অনেক বেনিয়ম ধরা পড়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে।