কলকাতা: চাকদহের নিখোঁজ কিশোরী সন্ধান করবে সিআইডি। দীর্ঘ ৮ মাস সময় পেলেও পুলিস এই মামলার তদন্তে একপ্রকার ‘ব্যর্থ’ হয়েছে। সেই কারণেই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হল সিআইডির ডিআইজির হাতে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরী এই নির্দেশ দিয়েছেন। চাকদহ থানার পুলিসকে তদন্তের সমস্ত নথি সিআইডির হাতে তুলে দিতে হবে, নির্দেশ বিচারপতিদের।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে দশম শ্রেণির পড়ুয়া নবনীতা নিখোঁজ হয়ে যায়। ওইদিন বিকেলে নবনীতা বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হয়েছিল। এর পর থেকে আর হদিশ মেলেনি তার। চূর্ণি নদীর ধার থেকে উদ্ধার হয় নবনীতার সাইকেল ও একপাটি জুতো। তদন্তে নেমে চাকদহ থানার পুলিস নবনীতার মোবাইল ট্র্যাকিং শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে, নবনীতার ফোনে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকে ১০টি ফোন আসে। গ্রেফতার করা হয় সাহাজুল ইসলামকে। তাকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিস। কিন্তু তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও তথ্য পেতে ব্যর্থ হয় পুলিস। মেয়ের সন্ধান না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের করেন নবনীতার বাবা কার্তিক চক্রবর্তী।
সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সরকারি আইনজীবী শ্রীমন্ত কবীর আদালতে জানান, নবনীতার মোবাইল রেকর্ড গোয়েন্দা দফতরের কাছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ভাবেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর পর বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরী নির্দেশ, আদালত মনে করতে নবনীতাকে খুঁজে বের করার জন্য সিআইডির ডিআইজিকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। চাকদহ থানার তদন্তকারী অফিসার সিআইডিকে সাহায্য করবেন। দু’সপ্তাহের মধ্যে ডিআইজি সিআইডিকে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।