কলকাতা: বীরভূমের দেউচা পাচামি (Deucha Pachami) দেওয়ানগঞ্জ হরিণগিঙ্গা কয়লা ও ব্যাসল্ট খনি প্রকল্প কার্যকর করতে গিয়ে স্থানীয় উপজাতি সম্প্রদায়কে জোর করে উচ্ছেদ করার পাশাপাশি সরকারি ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে বেআইনি ও নিয়মবিরুদ্ধ কাজের অভিযোগে নয়া আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। সেই সূত্রে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের (West Bengal Government) বক্তব্য তলব করল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
২০২২ সালে দাখিল মামলাটিতে ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন ও তার বিধান ছাড়াও ১৯৫৫ সালের পশ্চিমবঙ্গ জমি সংস্কার আইন এবং ২০০৬ সালের তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যগত বনবাসীদের অধিকার আইনভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, তাণ্ডব কতদিন? জানাল আবহাওয়া দফতর
মামলাকারীর দাবি, ঘোষিত প্রকল্প এলাকার অন্তত ৪৩১৪টি পরিবারের জমি, জীবন এবং ঐতিহ্য ভয়ঙ্করভাবে এই প্রকল্পের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। ২০২২ সালের ৩ মার্চ তথ্য জানার অধিকার অনুসরণে বীরভূম (Birbhum) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই কয়লা খনি প্রকল্প সম্পর্কে যেসব প্রশ্ন পেশ করা হয়েছিল, সেই বিষয়টিও আদালতের নজরে আনা হয়। জানানো হয়, ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ডব্লুবিপিডিসিএল জানিয়েছিল, প্রকল্পের ফলে পরিবেশের উপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কিত সমীক্ষা চলছে। কিছু সরকারি নির্দেশিকার জোরে জমি দখলে নেওয়া হয়েছে। মামলাকারীর মতে, যে প্রক্রিয়া ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন বিরোধী।
এই প্রেক্ষাপটে সেখানকার জমি অধিগ্রহণ বা প্রস্তাবিত ডিপিডিএইচ কয়লা খনি প্রকল্প বন্ধ রাখার জন্য বীরভূম জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানান মামলাকারী। উল্লেখ্য, এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বেঙ্গল বিজনেস সামিট থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটিতে নয়া আবেদন পেশ করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারীদের একটা বড় অংশ সাঁওতাল সম্প্রদায়ভুক্ত। এই তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়কে খনি প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি অথবা আইনত সম্মতি নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ।
দেখুন অন্য খবর: