কলকাতা: ১৩ বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুসরণে কিশোরীর ২৬ সপ্তাহের ভ্রণ অপসারিত করবে এসএসকেএম। দেশের শীর্ষ আদালত যেখানে ২৮ সপ্তাহের ভ্রউণ অপসারণের অনুমতি দিয়েছিল।
পূর্ব মেদিনীপুরের চিফ মেডিকেল অফিসারকে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, অবিলম্বে তিনি ওই কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসবেন। কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম মেডিকেল বোর্ড গড়বে। সম্ভব হলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গর্ভপাত করতে হবে। নতুন প্রাণ সৃষ্টির খবর পরিবারে আনন্দ নিয়ে আসে। এমন ক্ষেত্রে সৃষ্ট হয় অসীম যন্ত্রণা। এক্ষেত্র সম্ভবত তেমনই কারণে কিশোরকে পরিত্যাগ করে তার বাবা-মা। তাই পূর্ব মেদিনীপুরের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি হাইকোর্টের লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির দ্বারস্থ হয়। ওই কমিটি ব্যতিক্রমীভাবে কিশোরীর অভিভাবক হিসেবে গর্ভপাতের জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করে।
আরও পড়ুন: আজ মুম্বই ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠক
ওই নাবালিকার বাবা-মা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ১৩ বছরের নাবালিকা ও তার বোন থাকত দাদুর কাছে। অভাবের মধ্যেই দিন কাটে। আর সেই সুযোগেই পাশের বাড়ির কাকু। খাবার দেওয়ার নামে মাঝেমধ্যেই নাবালিকাকে ডাকত বাড়িতে। সেইসময় কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন করেন। তারপরই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। ২৫ সপ্তাহ ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ পূর্ব মেদিনীপুরের নাবালিকার পরিবার।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই আদালত ১১ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। কয়েক মাস আগেই পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় পঞ্চম শ্রেণীর ১১ বছরের নাবালিকা। তারপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ওই নাবালিকা বাবা-মা আদালতের দ্বারস্থ হন। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা ভেবেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য (Justice Sabyasachi Bhattachattachrayya)। এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দেন।