কলকাতা: শিক্ষক ও পুরকর্মী নিয়োগের তদন্ত একসঙ্গে চলবে বলে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তাঁর আরও নির্দেশ, আদালতের পর্যবেক্ষণেই ইডি ও সিবিআই তদন্ত চলবে। ১৪ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করতে হবে। তদন্তকারী দলের সদস্যদের বদল করা যাবে না। এদিন বিচারপতি সিনহা জানান, প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গঠিত সিটই (SIT)তদন্ত করবে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিরও। এরই মধ্যে পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী আধিকারিক (IO) সুনীল সিং রাওয়াতকে এদিন সিটে অন্তর্ভুক্ত করল হাইকোর্ট। আদালতের নজরদারিতেই এবার থেকে হবে পুর – নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত।
এদিন বিচারপতি সিবিআই আইনজীবীকে ধমক দিয়ে বলেন, একই ধরনের সব রিপোর্ট দিচ্ছেন, পুরনো তথ্যে ভরা ! নতুন তথ্য কোথায় ? টাকা কোথায় গেল? দুর্নীতির মাথায় কে, তা এখনও বার করতে পারচ্ছেন না কেন? আপনারা নীচ থেকে তদন্ত শুরু করে উপরে উঠছেন। উপর থেকে তদন্ত শুরু করতে আপনাদের কে বাধা দিচ্ছে ? আপনাদের তদন্তে কি আদৌ কোনও অগ্রগতি আছে ?
আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি কতটা, জানতে চাইল আদালত
বিচারপতি সিনহা আরও বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় একটু হুড়োহুড়ি হল, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়লেন ? এমন তদন্ত করলেন যার কোনও ফল সামনে এল না! এত বড় দুর্নীতি কারও একার মস্তিষ্কপ্রসূত হতে পারে না। মানিক ভট্টাচার্য তো একা এই দুর্নীতি করেননি। তিনি ছাড়াও আরও ব্যক্তি আছে। কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন ? জবাবে সিসিআইয়ের আইনজীবী জানান, এটা একটা ঠান্ডা মাথার দুর্নীতি। জাল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল।
এদিন পেশ হওয়া ইডি রিপোর্টে লিপস এন্ড বাউন্ড সংস্থায় তল্লাশি অভিযানের প্রসঙ্গও উল্লেখে করেছে। সেই প্রশ্ন তুলেও বিচরপতি সিনহা ইডিকে তুলোধনা করেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। আদালতের নির্দেশও ইডি তাকে একবার জিজ্ঞাসাবাদও করে। তারপর আর কেন ডাকাডাকি করা হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।