কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী দেশজুড়ে করোনার (Covid 19 Booster Dose) বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও ব্যতিক্রম বসিরহাট (Basirhat Covid19) স্বাস্থ্য জেলা। করোনার থাবা বসিরহাট জেলার স্বাস্থ্যবিভাগে। হাসপাতালের সুপার, অতিরিক্ত সুপার, চিকিৎসক-নার্সসহ আক্রান্ত ৩৫ জন। এই জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪৫০ জন। যার জেরে এদিন বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয় বসিরহাটে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন থেকে সীমান্ত হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, স্বরূপনগর সব মিলিয়ে ১৩০টা করোনা পরীক্ষা সেন্টার খোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বরূপনগর, বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়ায়, ৫০টি বেডের ৪টি সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার ইনডোর স্টেডিয়ামে সকাল থেকেই বুস্টার টিকা নিতে ভিড় জমে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় বুস্টার ডোজ দেওয়া। যে তালিকায় রয়েছেন কোমর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা এবং স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও পুলিসকর্মী।
আরও পড়ুন Booster Doses: ওমিক্রনের চোখ রাঙানি, আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু বুস্টার ডোজ
আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন স্তরের প্রায় দু’হাজার স্বাস্থ্য কর্মীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। তবে কোমর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব কত জন আছেন এটা বলা মুশকিল। যাঁরা টিকা নিতে কেন্দ্রগুলিতে আসবেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়েই বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিই সেরে নিয়েছি।’
আরও পড়ুন Covid-19: কোভিড আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা কবে পাবে বুস্টার ডোজ? কী বলছে কেন্দ্রের নির্দেশিকা
একইসঙ্গে নদিয়ার কল্যাণীতে শুরু হল বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ । এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রবীণরা এই ডোজ পেয়ে যথেষ্ট খুশি এবং নিজেদের আরও সুরক্ষিত মনে করছেন।
স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত শতাধিক বিএসএফ জওয়ান। বসিরহাট শহর জুড়ে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবের সামনে বিএসএফ জওয়ানের ভিড় জমে। গোপন সূত্রে খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বসিরহাট মহকুমার ১৫৩, ১১২, ৮৫ ও ১১৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের কয়েকশো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান করোনা পজিটিভ বলে এলাকার মানুষের আশঙ্কা । একাধিক জওয়ানকে ইতিমধ্যেই সেফহোম ও হোম আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর তরফে সরকারিভাবে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।