দেগঙ্গা: দেগঙ্গায় ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। বৃহস্পতিবার আইএসএফ প্রার্থীর দোকান ভাঙচুর, এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, গতকাল আইএসএফ দুষ্কৃতীদের মারধরে তাঁদের দুজন কর্মী আহত হয়েছেন। এদিনের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেগঙ্গার হাদিপুর-ঝিকরা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের আমতলা হাট এলাকায়।
অন্যদিকে দেগঙ্গা চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নির্দলের দ্বারা আক্রান্ত হন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। চাপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল ও তৃণমূলের সংঘর্ষ আহত হন ৭ জন। এই দুটি ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Jalpaiguri | পঞ্চায়েত ভোট মিটতে না মিটতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আহত ১
এর আগেও দেগঙ্গাতে পঞ্চায়েত ভোটের দিনের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অশান্তির ছবি দেখা যায়। রাজ্যের ভোট গ্রহণ শুরু হতেই সন্ত্রাস, বোমাবাজি, বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র আগুন জ্বলছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধী দলগুলি সম্মিলিত শক্তিতে তাদের উপর আছড়ে পড়ছে। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি শাসকের বিরুদ্ধে পুলিশি মদতে সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে। পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীনই রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে বার্তা পাঠাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোটের ব্যস্ততার মধ্যেই জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের খতিয়ান তলব কমিশনের। কোন বুথে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তেজনাপ্রবণ ও সাধারণ বুথের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে কত পরিমাণ বাহিনী রয়েছে তা না জানালেও চলবে বলে কমিশন জানিয়েছে।