ওয়েব ডেস্ক : ফের নারী নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনা ঘটল বাংলায়। এবার ঘটনাস্থল হুগলি (Hooghly)। নাবালিকাদের গোপন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে, তা ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং (Blackmail) করার অভিযোগ উঠেছে ‘ বাথরুম গ্যাং ‘- এর বিরুদ্ধে। ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শিশু কমিশনও (State Child Commission)।
।
সূত্রের খবর, এই ‘ বাথরুম গ্যাং ‘- এর মূল টার্গেট ছিল ফাইভ, সিক্স, সেভেন এইটের গরীব ছাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে এইভাবে নাবালিকাদের ভয় দেখিয়ে অভিযুক্তরা নির্যাতন চালাত বলে অভিযোগ। লোক জানাজানি হওয়ার ভয়ে মুখ বুজে নাবালিকারা এই নির্যাতন সহ্য করে গিয়েছে। তবে বাথরুম গ্যাংয়ের কুকীর্তি প্রকাশ্যে এনেছে মগরা থানা এলাকার ক্লাস এইটের এক নির্যাতিতা। এর পরেই পুলিশ মূল অভিযুক্ত সঞ্জিত দাওয়ান ওরফে ছোটকা ও আরেক সাগরেদ রোহিত অধিকারী ওরফে হুলোকে গ্রেফতার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও খবর : জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি, আহত ৯ জন
এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্যের শিশু কমিশন (State Child Commission)। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইল থেকে সমস্ত প্রমাণ উদ্ধার করেছে। অভিযোগ, স্থানীয় একটি চক্র পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে এই গ্যাংয়ের কুকীর্তিকে আড়াল করার মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে। বিষয়টিকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে ঘটনাস্থল ঘুরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে শিশু কমিশনের একটি দল।
ওই নির্যাতিতা জানিয়েছেন, গোপন দৃশ্য রেকর্ড করার পর অভিযুক্তরা তাদের উপর নির্যাতন চালাত। ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখাত। তবে সাহস করে ওই নাবালিকা গোটা ঘটনাটি নিজের মাকে জানায়। এর পরেই নাবালিকার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন। এই ঘটনার বিষয়ে হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী নির্মাল্য চক্রবর্তী বলেন,আমাদের মানবিক সরকার সব সময় মহিলাদের পাশে থেকেছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনায় যারা যারা যুক্ত তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে কঠিন সাজার ব্যবস্থা করব। আর তিনি এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবীর সাথেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। কোনো সাহায্য লাগে যে কোনো বিষয়ে তিনি পাশে আছেন, আর তিনি দলের উচ্চস্তরের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর :