তমলুক: বিজেপি গীতার পাতার আড়ালে নোট সাপ্লাই করছে। তাম্রলিপ্ত পুরসভায় হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, ময়না থেকে বহিরাগতদের ঢোকাচ্ছে বিজেপি। তমলুকে ভোটপ্রচারে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র (Saumen Kumar Mahapatra)। জবাবে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তমলুক শহরের ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করতে মন্ত্রী এধরনের মনগড়া অভিযোগ করছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলই ছাপ্পা ভোটের জন্য বহিরাগতদের জড়ো করছে (West Bengal Civic Polls)।
সোমবার সন্ধ্যায় তাম্রলিপ্ত পুরসভার ১০ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পার্থসারথি মাইতির প্রচারসভায় গীতার পাতার আড়ালে নোট সাপ্লাইয়ের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, বিজেপি এখন রামকে ছেড়ে দিয়েছে। গীতা নিয়ে প্রচারে যাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে গীতা স্পর্শ করিয়ে হিন্দুত্বরক্ষায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্দেহ অন্য জায়গায়, বিজেপি-র পার্টিফান্ড হচ্ছে ৫ হাজার কোটি টাকার। ওই বিরাট টাকার কিছু অংশ তাম্রলিপ্ত পুরসভার ভোটেও খরচ হবে। তাই গীতার পাতার মধ্যে ২ হাজার কিংবা ৫০০ টাকার ঢোকানো রয়েছে কি না, তা দেখে নেবেন। খেয়াল রাখবেন, বিজেপি কিন্তু এই টাকার খেলায় বড় ওস্তাদ। তাঁর আরও অভিযোগ, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম ও ময়না থেকে বহিরাগতদের ঢোকাচ্ছে বিজেপি। এব্যাপারে দলের ভোটকুশলীদের সতর্ক করে দেন তিনি। ভোটারদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘খুব সাবধান! বিজেপির কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। তাম্রলিপ্ত পুরসভার মানুষ ‘উঞ্ছবৃত্তি’ করে না। টাকা দিয়ে এখানকার মানুষকে কেনা যাবে না। তাই ওদের গীতা প্রত্যাহার করুন।
আরও পড়ুন: Bajrang dal Activist Murder: কর্ণাটকের শিবমগ্গায় বজরং কর্মী খুনে গ্রেফতার ২
নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, উনি নিজেকে অবিসংবাদিত নেতা মনে করছেন। পদ্মবনে তাঁর পা পড়ার পর থেকেই পদ্ম শুকোতে শুরু করেছে। সব ক্ষেত্রেই তাঁর আমিত্বের প্রকাশ। সব নাকি তিনি করেছেন। ওঁকে আমিত্ব রোগে পেয়েছে। আমিত্বে ভুগতে দিন। তাতে তৃপ্তি হয় হোক। মন্ত্রীর কথায়, তাম্রলিপ্ত পুরসভাতেও বিজেপির জায়গা নেই। ২০টি ওয়ার্ডেই জিতবে তৃণমূল।
মহাপাত্রের কথার পাল্টা জবাব দেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মন্ত্রী নিজেই গণতন্ত্রের নিয়ম মানছেন না। আসলে তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পেয়েছে। তাই এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করে চলেছেন নেতা-মন্ত্রীরা। সাধারণ মানুষ সব দেখছেন। ভোটবাক্সে তার জবাব মিলবে।