বালুরঘাট: রাজ্য হেরিটেজ কমিশনে পুনর্গঠন নিয়ে প্র্শ্ন তুলল বিজেপি। তাদের অভিযোগ, এমন অনেককে এই কমিশনের সদস্য করা হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোমবার বালুরঘাটের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, রাজ্যের দুর্নীতিবাজরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চয়েস হয়। তাই দুর্নীতিগ্রস্তই রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন, এ আর নতুন কথা কী? পাশাপাশি এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে রাজ্যে হেরিটেজ কমিশনের পুনর্গঠন নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। তিনি টুইটে জানান, এই কমিশনের তালিকায় উত্তরবঙ্গের কোনও প্রতিনিধি। এমনকী যাঁকে চেযারম্যান করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার বিভাগীয় তদন্ত করছে।
পাশাপাশি এদিন আদালতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পঞ্চায়েত ভোটে তৃনমুল জিতবে এই মন্তব্যের প্রশ্নে তিনি জানান, দলের নেত্রী তাঁর পাশে না থাকলেও তিনি যে দলের উপর ভরসা রাখছেন সে কথাই জানিয়ে রাখলেন। তাঁর আরও দাবি, পিসি-ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য পার্থকে বলি দিলেও ভাইপো বাচবে না। তাঁকে জেলে যেতেই হবে।
গরু পাচার থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় সেদিক থেকে যথেষ্টই চাপে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল। এদিকে পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূলের অন্দরে বাড়ছে ক্ষোভ। জেলায় জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন এসএসসি, কয়লা ও গরুপাচার কাণ্ডে ইডি ও সিবিআই জোর তৎপরতা ব্যাপারে সুকান্ত বলেন, এটাই তো হওয়া উচিত। বাংলার টাকা যারা লুট করেছে, তাদের ধরবে ও জেলে পুরবে।
আরও পড়ুন:Shraddha Walkar: শ্রদ্ধা খুনের মামলার তদন্তে সাফল্য দিল্লি পুলিশের, উদ্ধার টুকরো করার অস্ত্র
কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের নতুন গাইডলাইন প্রসঙ্গে বলেন, গাইডলাইন জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ ১০০ দিনের কাজের নামে এখানে টাকা লুট করা হয়েছে। যেখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে নদির ভিতর পুকুর কাটা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই লুট বন্ধ করার জন্য অবশ্যই নতুন গাইডলাইন আনা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তিনি।