কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে (panchayet Election) হিংসা নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইল রাজ্য বিজেপি (BJP)। শনিবার সন্ধ্যায় দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেন। সেই চিঠিতে সুকান্তের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে এদিন রাজ্যে গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে। শাসকদল পুলিশকে এক তরফ ভোট করেছে। বুথ দখল থেকে শুরু করে রিগিং, ছাপ্পা ভোট কিছুই বাদ দেয়নি। বহু জায়গায় বিজেপি কার্যকরতা এবং কর্তারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। অনেক কার্য কর্তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
শাহকে দেওয়া চিঠিতে বিজেপি রাজ সভাপতির আরও অভিযোগ, সামান্য কিছু বুথে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ বুথে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। এমনকী কোথাও কোথাও বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। অথচ কলকাতা হাইকোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ ছিল সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করতেও ছাড়েনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সুকান্তের বক্তব্য এই অবস্থায় গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ জরুরি।
আর পড়ুন: Panchayat Election 2023 | আসানসোলে বুথের বাইরে সিপিএম প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি
সুকান্ত চিঠি দেওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন বিকেলে তাঁকে ফোন করে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। বিজেপি সূত্রের খবর, সুকান্ত ফোনেও শাহকে পঞ্চায়েত ভোট হিংসা নিয়ে অভিযোগ করেন।
এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি করেছেন। তিনি বলেন এছাড়া রাজ্যে গণতন্ত্রকে বাঁচানোর কোনও উপায় নেই। তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের হাতে আজ গণতন্ত্র ধর্ষিত হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। শাসকদল বারবার অভিযোগ করছে, আমরা নাকি কেন্দ্রকে রাজ্যে টাকা দেওয়া বন্ধ করতে বলেছি। আমরা টাকা দেওয়া বন্ধ করতে বলিনি, চুরি বন্ধ করতে বলেছি। জনগণের টাকা চুরি করবে রাজ্য সরকার, তা হতে দেব না। এদিন রাতে শুভেন্দু দলবল নিয়ে গিয়ে সরোজিনী নাইডু সরণীতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে তালা লাগিয়ে বসে পড়েন। তিনি বিকেলেই কমিশনারকে ফোনে সন্ধ্যায় যাবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন।