মালদা: রাজনৈতিক মহলে ফুল বদল লেগেই থাকে, কিন্তু এবার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল মালদহে (Malda)।
কয়েকদিন ধরেই স্ত্রীর খোঁজ পাচ্ছিলেন না মালদার তৃণমূল কর্মী (TMC)। বেশ কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই তৃণমূল কর্মী। বেশ কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে স্ত্রীর খোঁজ পান তিনি। কিন্তু মনখারাপ তৃণমূল কর্মীর। কেন?
খবর মিলছে, তৃণমূল কর্মী স্ত্রী নাকি নতুন করে প্রেমে পড়েছেন। তাও আবার প্রেম করছেন এলাকারই বিজেপি নেতার সঙ্গে। জানা যাচ্ছে, সেই বিজেপি নেতাও বিবাহিত।
সূত্র মারফত খবর, সেই বিজেপি নেতা, এবং এলাকার তৃণমূল নেতার স্ত্রী দুজন এখন একত্রে বাস করছেন। অর্থাৎ দুজনেই নিজেদের পরিবার ছেড়ে এসেছেন। বেশিদিন চাপাও থাকেনি খবরটি। সকলের মুখে মুখেই এখন এই কথার চর্চা। যার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। রাজনীতির রংও লেগে গেছে এ বিষয়ে। একে অপরকে কটাক্ষ করছেন দুই দলের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ দুজনেই।
আরও পড়ুন: আয় বাড়াতে পদক্ষেপ সিপিএমের, পার্টি কর্মীদের স্বচ্ছতায় জোর
জানা যাচ্ছে কয়েক বছর আগে মালদহের তৃণমূল কর্মী শতদল রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় জবা রায়ের। রয়েছে দুই সন্তানও। অন্যদিকে, এলাকার যেই বিজেপি নেতার সঙ্গে পলাতক তৃণমূল নেতার স্ত্রী, তাঁর নাম কমল দাস। তিনিও এক সন্তানের বাবা।
দুজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় সমস্যায় এখন দুই পরিবার। কেউই মেনে নিতে পারছেন না এই ঘটনা। এমনকি দুজনে পালিয়ে গেছিলেন সেই খবরও ছিল না কারুর কাছে। বাড়িতে স্ত্রীর অনুপস্থিতি দেখে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তৃণমূল নেতা শতদল। আর তারপরেই খবর মেলে এলাকারই বিজেপি নেতার সঙ্গে পালিয়েছেন তিনি।
শতদলের স্ত্রী জবার এমন কান্ডকারখানা মানতে পারছেন না জবার মাও।
এমনকি তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে ১০০ কিমি দূর বিজেপি কর্মীর বাড়ি। কিন্তু কবে দুজনে পরকীয়াতে জড়িয়েছেন সেই খবর ঘুনক্ষরেও টের পায়নি কেউ।
তবে এই বিষয় নিয়ে এখনও এলাকায় শুরু হয়নি রাজনৈতিক তরজা। শাসক বিরোধী দুই পক্ষই কার্যত চুপ।
দেখুন অন্য খবর