হুগলি: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে (Inner Clash) জেরবার শ্রীরামপুর (Srirampur) জেলা বিজেপি (BJP)। এবার প্রার্থীর সমর্থনে প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ডল সভাপতির মধ্যে মাইক্রোফোন নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল সেই ভিডিও। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । এই বিষয় সংবাদমাধ্যমের সামনে শ্রীরামপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বোস মুখ খুলতে না চাইলেও তাঁর দলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর নেতা ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন। জাঙ্গিপাড়া বিজেপি মন্ডল ৩ সভাপতি সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, অসিত কুমার ঘোষ প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি ছিলেন, আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন পরবর্তী সময়ে তাকে দল বহিষ্কার করেছিল । আপাতত তিনি মুচলেকা দিয়ে দলে ফিরে এসেছেন । কিন্তু তিনি তার নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করছেন না উপরন্ত প্রার্থীর সমর্থনে যখন সভার কাজ চলছিল সেই সময় আমার হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বচসা, ধাক্কাধাক্কি হয়। আমি গোটা ঘটনা জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি ।
অন্যদিকে প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি অসিত কুমার ঘোষের অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। প্রার্থীর সমর্থনে স্লোগান দেওয়ার জন্য মাইক নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সঞ্জয় ঘোষ তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। গোটা ঘটনা তিনি জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব দাড়ি বলেন, গোটা ঘটনায় মশাট অঞ্চলের লোক হতবাক। ১০ /১২ জন মিলে বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বসুর সমর্থনে বিজেপি সভা করছিল। সেই সময় কবি শংকর বোস এসে পৌঁছলে তাঁর সামনেই বিজেপির বিবাদমান দুই গোষ্ঠী হাতাহাতি শুরু করে দেয়। তাদের কোনও জনসমর্থন এলাকায় নেই এবং মানুষ এদের পছন্দ করে না কিন্তু শুধুমাত্র টাকা-পয়সা নিয়ে দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে এসব কাণ্ড হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি । আগামী লোকসভা নির্বাচনে মানুষ তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে এবং তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেড় লাখের বেশি ভোটে জয়ী করবে। প্রসঙ্গত সম্প্রতি বিজেপি প্রার্থী কবীরশংকর বসুর ফেক অডিও ভাইরাল করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য কমিটির নেতা ঋত্বিক পালকে গ্রেফতার করেছিল চুঁচুড়া সাইবার ক্রাইম থানা।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি মমতা ও অভিষেকের বাপের টাকা? প্রশ্ন প্রাক্তন বিচারপতির
আরও খবর দেখুন