নারায়ণগড়: তৃণমূলে বিধায়কের হাত ধরে যোগদানের পর এলাকায় পোস্টারিং বিজেপি প্রার্থীর। বিজেপির প্রতীকে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে না পেরে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। তারপর নিজের এলাকায় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁকে ভোটদানের বিরত থাকার আবেদন জানিয়ে এলাকায় পোস্টার বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর। মঙ্গলবার নারায়ণগড় ব্লকের বেলদা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলি ১১৮ নম্বর বুথ এলাকার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ভূঁইয়া নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে না পেরে ওইদিন রাতে নারায়ণগড়ে তৃণমূলের বিধায়ক কার্যালয়ে গিয়ে বিধায়ক সুর্যকান্ত অট্টের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। এরপর বুধবার সকাল থেকে নিজের এলাকার ভোটারদের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁকে ভোটদান থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করতে দেখা যায়। দেবাশিসের দাবি, ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনা ও এলাকায় বিগত চার বছর ধরে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুন্নয়নের কারণে তিনি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো বিডিও অফিসে পৌঁছতে না পারায় তিনি প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে পারেননি। আর সেই কারণে স্থানীয় বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্টের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | Chopra | মৃত্যু হল চোপড়ার গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মীর
বুধবার সকাল থেকেই নিজের এলাকায় তাঁকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিলীপ দে-র দাবি, বিগত চার বছর ধরে বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি। শেষ এক বছরে তৃণমূলের পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়নের কাজ সঠিকভাবে করায় দেবাশিস তাঁদের দলে এসেছেন।
এ ব্য়াপারে বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট জানান, শুধু দেবাশিস ভুঁইয়া নয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরীক হতে আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে বিজেপির আরও অনেক প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করবে। দলবদল নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে চাপ দেওয়ার অভিযোগ আনেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী। তাঁর দাবি, ওই প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে বিধায়ক নিজেদের দলে টেনেছেন।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে বেলদা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসনে ৭টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করে বোর্ড গঠন করে। পরে চার বছর গ্রাম পঞ্চায়েত চালানোর পর বিজেপির ১ সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করায় শেষের এক বছর ওই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস।