খেজুরি: বিজেপি নেতার মুক্তির দাবিতে দলের ডাকা খেজুরি বনধে সোমবার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। সকাল ৬টা থেকেই বনধ চলছে খেজুরির মোট ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেই বনধের সমর্থনে সকাল থেকে মিছিল করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা।কোথাও কোথাও অবরোধ চলে। তবে বেশ কিছু এলাকায় পুলিশ গিয়ে অবরোধ সরিয়ে দেয়। এদিন অবশ্য সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ সব গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ছিল। আবার জাতীয় সড়ক এবং জরুরি পরিষেবা বনধের আওতার বাইরে রেখেছিল বিজেপি।
বিজেপির দাবি, বনধ সফল হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, খেজুরিতে বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। বনধকে প্রত্যাখ্যান করেছে খেজুরির মানুষ, স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় খেজুরির বিজেপি কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্নাকে পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। রাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মারিশদা থানায় বিক্ষোভ দেখান দলবল নিয়ে। তিনি থানায় ঢুকে পুলিশ অফিসারদের কাছে অ্যারেস্ট মেমো দেখতে চান। পুলিশ তা দেখাতে পারননি। শুভেন্দুর অভিযোগ, পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অমান্য করেছে। থানা চত্বরে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু সোমবার বনধের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, রবীন্দ্রনাথের স্ত্রীকে দিয়ে অপহরণের মামলা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ে যত দূর যেতে হয়, যাব।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে হাওয়া বদল, সপ্তাহের শেষে বৃষ্টির পূর্বাভাস
এদিন সকালেই বিজেপি কর্মীরা বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামেন। অভিযোগ, বিজেপি জোর করে অনেক জায়গায় দোকানপাট বন্ধ করেছে। বিজেপি অবশ্য সেই অভিযোগ মানতে চায়নি। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতায় বলেন, বিজেপি জানে এবার নন্দীগ্রামে তারা আর জিততে পারবে না। তাই বনধের নামে অরাজকতার সৃষ্টি করছে। মন্ত্রী বলেন, সকাল থেকে নন্দীগ্রামের খেজুরিতে যেভাবে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছে তা অরাজকতার শামিল।
বুধবার ধর্মতলায় বিজেপির সমাবেশ নিয়ে ফিরহাদ বলেন, এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পয়েন্ট বাড়াতে চাইছেন। তাই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে এসে বাজার গরম করতে চাইছে। ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের ১৩ জন কর্মী শহীদ হয়েছিল। তার সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা চলে না।