বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কড়া সতর্কবার্তার পর অবৈধ বালি উত্তোলন ও পাচার রোধে (Sand Smuggling) বড়সড় পদক্ষেপ নিল বীরভূম (Birbhum) জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নানুরের একাধিক বালিঘাটে অভিযান চালান বীরভূমের জেলাশাসক (District Magistrate) বিধান রায়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক ও বিশাল পুলিশবাহিনী।
জানা গিয়েছে, এদিন অভিযানের সময় অজয় নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি লরি আটক করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় বিভিন্ন হিসাবের খাতা, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং দু’টি পকলেন মেশিন যা বালি তোলার কাজে ব্যবহৃত হয়। অভিযানের খবর পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে রাস্তায় আরও কয়েকটি লরিকে আটক করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: অভিষেকের সেবাশ্রয়ের উদ্যোগে প্রাণে বাঁচল ৭ বছরের শিশু
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরও বোলপুর, ইলামবাজার এবং নানুরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালিঘাটগুলি সক্রিয় ছিল। প্রশাসনের এই অভিযানের ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অবৈধ বালি উত্তোলন ও পাচারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে নিয়মিতভাবে এই ধরনের অভিযান চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের জেলাশাসককে বালি পাচার ইস্যুতে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “বীরভূমে কাজের যে গতি ছিল, তা হঠাৎ কেন থেমে গেল? কেন এই জেলাতে সব থেকে বেশি বালি পাচার হচ্ছে?” মুখ্যমন্ত্রীর এই সতর্কবার্তার পর জেলা প্রশাসন যে তৎপর হয়েছে, তা এই অভিযানে স্পষ্ট। প্রশাসনের এই পদক্ষেপের ফলে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ হওয়ার আশা করছেন স্থানীয়রা।
দেখুন আরও খবর: