কলকাতা: দিনগুণে ৬৪ দিন পরে শুক্রবার ঘরওয়াপসি হয় বিনয় তামাংয়ের৷ তাঁর মুখে এখন বিজেপি বিরোধী বক্তব্য ও পাহাড়ের উন্নয়নের পরিকল্পনা৷ শনিবার কলকাতা টিভি ডিজিটালকে সেই পরিকল্পনা ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন তিনি৷ তাঁর অভিযোগ, বিজেপি বরাবরই ‘গোর্খাল্যান্ড ললিপপ’ দেখিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করেছে৷ পাহাড়ের মানুষের বিশ্বাস ভেঙেছে৷ যা বুঝতে পেরে উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন পাহাড়বাসী৷
বিনয় তামাং বলেন, ‘‘আগে পাহাড়ের মানুষ বিজেপিকে হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করতো। এখন পাহাড়বাসী হৃদয় ও মাথা দুটোই কাজে লাগাচ্ছে। তাঁরা বুঝেছে কাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে পাহাড়ের মঙ্গল-উন্নয়ন সম্ভব। পাহাড়ের বাচ্চাদের মুখে মুখে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।’’
শুক্রবার মন্ত্রী মলয় ঘটক ও ব্রাত্য বসুর থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং৷
জিটিএ নির্বাচনের আগে বিনয় তামাংয়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন শাসকদলকে অনেকটাই শক্তিশালী করেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের৷ কারণ, জিটিএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন বিনয়৷ তাঁর নেতৃত্বে পাহাড়ে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরে বেশ কয়েকবার করে পাহাড়ে যান৷ পাহাড়ে উন্নয়নে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজও করেছেন৷ সেই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে পাহাড়বাসী তৃণমূল-রাজ্য সরকারেকে চাইছে বলে দাবি তামাংয়ের৷
কিন্তু দার্জিলিং লোকসভা তো বিজেপির দখলে? এ প্রসঙ্গে তামাংয়ের বক্তব্য, পাহাড় ও সমতলের নানা সমীকরণের কারণে পাহাড়ের মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছিল৷ এখন আর সেই সুযোগ নেই৷ পাহাড়ে শান্ত৷ পাহাড়ের মানুষ শান্তিই চাইছেন৷
বিমল গুরুং-অনীথ থাপারা পিছন থেকে তৃণমূলকে সমর্থন করছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিনয় মাতাংয়ের তৃণমূলে যোগ অসুবিধা হবে না? প্রসঙ্গ এড়িয়ে বিনয় দলে থেকে কাজ করা আর দলের বাইরে থেকে কাজ করাকে তুলে ধরলেন৷বিনয় স্পষ্ট বলেন, ‘বন্ধু বলে কাজ করা আর ভাই হয়ে কাজ করার মধ্যে পার্থক্য আছে৷’