বহরমপুর: এক কিশোরের অপহরণ ঘিরে একের পর এক দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে। তাতে প্রাণ গেল ওই কিশোর সহ এক যুবকের। গুরুতর জখম ৩। জখমদের মধ্যে রয়েছে দুই অপহরণকারীও। তাদের অবস্থা খুবই সংকটজনক। এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায় রেজিনগরে। অভিযোগ, অপহরণকারীরা দ্রুতগতিতে বাইক চালিয়ে পালাতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
রেজিনগরের এই ঘটনা কোনও সিনেমার কাহিনীকে হার মানাতে পারে। যেভাবে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে হতবাক প্রত্যকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত ওই কিশোরকে নিয়েই। পরিবারের অভিযোগ, ১০ দিন আগে রেজিনগরের কয়েকজন যুবক যৌন নির্যাতন করে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রকে। অত্যাচারে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কিশোর যে তাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তারপর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে সে। সোমবার সন্ধ্যায় বাজারে তরমুজ কিনতে গিয়েছিল ছাত্রটি। তখন ওই নির্যাতনকারীদের চোখে পড়ে যায় সে। তাকে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে পালায় দুই অপহরণকারী। তা দেখতে পেয়ে স্থানীয় এক যুবক মোটরবাইক নিয়ে ধাওয়া করেন অপহরণকারীদের।
বিপত্তি ঘটে তারপরই। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে খুব জোরে বাইক চালাচ্ছিল অপহরণকারীরা। সেই সময় উলটো দিক থেকে বাইকে চেপে আসছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য আতাবুর রহমানের ছেলে সরফরাজ। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপহরণকারীদের বাইকটি ধাক্কা মারে সরফরাজের বাইকে। পিছনেই ছিল স্থানীয় যুবকের বাইক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই বাইকও ধাক্কা মারে অপহরণকারীদের বাইকে। গুরুতর জখম হন প্রত্যেকে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁদের। কিছুক্ষণ পরই মারা যান জেলা পরিষদ সদস্যের ছেলে সরফরাজ। সোমবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় সপ্তম শ্রেণির ওই কিশোরের।
আরও পড়ুন: SSC Recruitment: দুপুর তিনটেয় হাজিরা, সিবিআই চাইলে হেফাজতে নিতে পারে শান্তিপ্রসাদকে
কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, অপকর্ম ধামা চাপা দিতেই তাকে অপহরণ করেছিল ওই দুজন। তাদের কড়া শাস্তির দাবি জানান কিশোরের মা। এদিকে সরফরাজের বাবা জেলা পরিষদ সদস্য আতাবুর রহমান জানান, জাতীয় সড়কে ওই এলাকায় অনেক সময় বেআইনিভাবে রাস্তা জুড়ে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিস থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এর জন্য মাঝেমাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবারও ঠিক একইভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সরফরাজ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।