বহরমপুর: চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে, কিন্তু সেই চিকিৎসা করতে এসে জল কিনে খেতে হচ্ছে রোগী সহ আত্মীয়দের। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে গিয়েছে। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, হাসপাতালে পানীয় জলের বড়ই অভাব। পিএইচই প্রকল্প বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। দুএকটি ট্যাপ কল থাকলেও খাবার অযোগ্য। সেখানে জামা কাপড় কাঁচা হয়। তাই তাঁদের বাধ্য হয়ে লিটার পিছু ২ টাকা করে জল কিনে খেতে হচ্ছে তাঁদের। সারাদিনে রোগী ও তাঁর আত্মীয়কে প্রায় ৪০-৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে। দ্রুত পানীয় জলের পরিষেবার দাবী সেকারণেই।
বহরমপুরের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হন। আর সেখানেই আউট ডোরের চিকিৎসা থেকে ভর্তি রোগীদের জন্য তাঁদের আত্মীয়রা খাবার জল পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ। প্রচন্ড গরমে অনেক বেশি পানীয় জলের প্রয়োজন হচ্ছে, যার সামাল দিতে পারছে না হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আবার লিটার পিছু যে ২ টাকা খরচ করে জল কিনতে হচ্ছে সেখানেও রয়েছে নানা শর্ত। ২ টাকার বড় কয়েন না হলে ওই ‘ওয়াটার এটিএম’ থেকে জল পাওয়া যায় না। ফলে ওই ২ টাকার কয়েন পেতে মাঝে মাঝে স্থানীয় দোকানদারদের বিনিময়ে ৫ টাকাও দিতে হয়। অর্থাৎ ১০ লিটার জল নিতে ৫০ টাকা খরচ।
আরও পড়ুন: Kolkata TV | Kaustuv Ray | তদন্তের নামে প্রহসন হচ্ছে, মন্তব্য কৌস্তুভ রায়ের
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা সাধারণ মানুষ ওই ওই টাকা জেলার গরীব মানুষ কোথায় পাবেন, সে প্রশ্নও উঠেছে। তাছাড়া অন্য জেলায় বৃষ্টি হলেও প্রচন্ড গরম মুর্শিদাবাদে। সেই সময় পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়েছে। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু খাবার জল কিনতে হচ্ছে সকলকে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছেন সকলেই। এদিকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে আসতে চাইনি। তবে জানা গেছে, পানীয় জলের অভাব সেটা অনেক আগেই পিএইচইকে বলা হয়েছে। তবে হাসপাতালে দুএকটি ট্যাপ কল রয়েছে। কিন্তু অনেকেই সেই জল খেতে চান না। তাঁরা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ২ টাকা লিটার জল খাচ্ছেন। তবুও বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলে জানা গেছে।