ওয়েবডেস্ক: সল্টলেকে বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) গেটের সামনের রাস্তায় উঠে গেল পুলিশের (Police) ব্যারিকেড (Barricade)। রবিবার স্বাভাবিক হল যান চলাচল। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুযায়ী আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। রোদ,ঝড়, বৃষ্টি থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই পদক্ষেপ। ব্যবস্থা করা হয়েছে বায়ো টয়লেট। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য মোট চারটি বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তবে আন্দোলনরত চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের গলায় শোনা গেল এদিন বাড়ি ফেরার সুর। তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চান। এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত নতুন স্থানে স্থানান্তরিত করেননি তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি রয়েছে। তবে আন্দোলনের লক্ষণরেখা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আর পরীক্ষায় বসতে চান না। চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এইরকম একাধিক দাবি নিয়ে গত ১৫ মে বিকাশভবনের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েছিলেন চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবারের সেই বিক্ষোভে দীর্ঘ সময় বিকাশ ভবনে আটকে থাকেন কর্মীরা। বেরোতে না পেরে কার্নিশ থেকে ঝাঁপ দেন এক মহিলা কর্মী। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। পরে বিক্ষোভ সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সেই ঘটনা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। হাইকোর্ট সেন্ট্রাল পার্কে নির্দিষ্ট স্থানে একত্রে ২০০ জনের অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেয়। রাজ্য সরকারকে তার জন্য ব্যবস্থা করে দিতেও বলা হয়।
আরও পড়ুন: টানা তিনদিন চলবে নিম্নচাপ, বৃষ্টি হবে কোন কোন জেলায়?
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। তার মধ্যে দাগী বা টেইন্টেড শিক্ষকদের আর পরীক্ষায় বসার সুযোগ নেই। তাঁদের বেতনও ফেরত দিতে হবে। মূলত যাঁরা প্যানেল বহির্ভূত বা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। বাকিরা পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে যাঁরা টেইন্টেড নন তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখার অনুমতি দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
দেখুন অন্য খবর: