ব্যস্ত সময়, হাতে অবকাশ কম। উইকেন্ডে (Weekend) সীমিত ছুটি, কিন্তু সেইভাবে উপভোগ করা যায় না। ঘরে থাকতে কারই বা মন চায়। যদি হাতের কাছে ঘুরে আসার জন্য জায়গা থাকে, তাহলে ক্ষতি কী! লোকে bns, বাংলায় মরভূমি (Desert) ছাড়া আর সবকিছুই আছে। কিন্তু আপনার কোনটা পছন্দ সেটা আগে বেছে নিতে হবে। পাহাড়-পর্বত, নাকি নদী (River)? অনেকের আবার সমুদ্র সৈকত (Sea Beach) পছন্দ। বিশেষ করে সপ্তাহান্তের ছুটিটা সি বিচে ঘুরে কাটালে মন্দ হয় না। এরকম একটা জায়গায় যেতেই পারেন। বাঁকিপুট। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, সমুদ্রের হাওয়ায় নিজের মুড খানিকটা ফ্রেশ করে নিতে। এখানেই আবার রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন সেই মন্দির, যার উল্লেখ আপনি কপালকুণ্ডলা উপন্যাসেও পাবেন। হাতে খানিকটা সময় বাঁচলে আপনি দেখে আসতেও পারেন।
কী দেখবেন?
সূর্যোদয় (Sunrise) ও সূর্যাস্ত (Sunset) দেখার পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে হাঁটতে লাল কাঁকড়ার ঝাঁক দেখে মন ভরে যাবে। আশেপাশে ঘুরতে হলে, যেতে পারেন দরিয়াপুর লাইট হাউস (Light House), বাঁকিপুট থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে। তার কাছেই অবস্থিত পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর (Petuaghat Fish Port), রসুল নদীর সঙ্গে সমুদ্র সেখানে মিশেছে। ইচ্ছে হলে, মাছ কিনে নিতে পারেন সেখান থেকে। আর ইতিহাসের সাক্ষী হতে চাইলে, ঘুরেই আসতেই পারেন কপালকুণ্ডলা মন্দির। (Kapalkundala Temple)
আরও পড়ুন: Ogo Bideshini New Song : ‘ওগো বিদেশিনী’-র নতুন গান
কীভাবে যাবেন?
কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ১৬০ কিলোমিটার। বাস কিংবা গাড়ি ভাড়া করে, আপনি বাই রোড যেতে পারেন। কাঁথি (Contain) পৌঁছানোর পর, সেখান থেকে জুনপুট যাওয়ার গাড়ি ধরে কিছুটা আগে নেমে যেতে হবে। কাঁথি থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যেই আপনি পৌঁছে যাবেন আপনার গন্তব্যস্থলে। ট্রেনে করে গেলে আপনাকে হাওড়া থেকে ট্রেনে কাঁথি পৌঁছাতে হবে, সেখান থেকে একইভাবে রওনা দিতে হবে বাঁকিপুটের উদ্দেশ্যে।
কোথায় থাকবেন?
বাঁকিপুট যাওয়ার সেরা সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ মাস। তবে আপনি সব মরশুমেই যেতে পারেন, কিন্তু বর্ষার সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। থাকার জায়গা এখন তেমন নেই। বাঁকিপুট বিচ রিসর্ট একমাত্র বিকল্প। তবে অবশ্যই যাওয়ার আগে বুক করে নেবেন। নাহলে থাকার জায়গা নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন।