অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়িয়েছেন তিনি। নির্বাচন ২ সেপ্টেম্বর। তার মাত্র দু দিন আগে কলকতায় এলেন বাইচুং ভুটিয়া। সকালে কলকাতায় পা দিয়েই বিকেলে ইস্ট বেঙ্গল মাঠে চলে গেলেন লাল হলুদ ফুটবলারদের উৎসাহিত করার জন্য। লাল হলুদ কোচ স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের সঙ্গে বাইচুংয়ের সম্পর্ক বেশ ভাল। স্টিভন যখন প্রথম দফায় ভারতের কোচ হন তখন ভাইচুং ছিলেন দেশের এক নম্বর স্ট্রাইকার। পরবর্তীকালে বাইচুং যখন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হন তখন স্টিভনকে আবার ভারতের কোচ করে নিয়ে আসার পিছনে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল। তাই ডার্বিতে মোহনবাগানের কাছে হারের পর ফুটবলারদের উজ্জীবিত করতে ইস্ট বেঙ্গল মাঠে হাজির হন তিনি। কথা বলেন কোচ স্টিভনের সঙ্গেও।
তবে ফেডারেশনের নির্বাচনের দু দিন আগে কলকাতায় বাইচুং এসেছেন শুধু ইস্ট বেঙ্গলের ফুটবলারদের উজ্জীবিত করতে এটা ভাবলে ভুল হবে। তিনি এসেছেন তাঁর ভোটের রসদ জোগার করতে। আই এফ এ প্রেসিডেন্ট অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্ট বেঙ্গলের কার্যকরী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা। ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে ভোট ৩৪টি। এর মধ্যে আই এফ এ-র ভোট দেবেন অজিতবাবু নিজে। বাইচুংয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী কল্যাণ চৌবে যতই ইস্ট বেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার হোন না কেন তিনি বিজিপি-র নেতা। লোক সভা এবং বিধান সভার নির্বাচনে বি জে পি-র প্রতিনিধি হিসেবে লড়াই করেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর দাদা হয়ে অজিতবাবু নিশ্চয়ই বি জে পি নেতাকে ভোট দেবেন না। সেই ভরসাতেই অজিতবাবুর ভোটটি নিশ্চিন্ত করতে বাইচুংয়ের কলকাতায় আসা এবং ইস্ট বেঙ্গল মাঠে যাওয়া। তাঁর নিজের রাজ্য সিকিম যে তাঁকে ভোট দেবে না এটা তিনি ধরেই নিয়েছেন। তাই যে রাজ্য থেকে তাঁর ফুটবল ক্যারিয়রের সব কিছু পাওয়া সেখানেই এসেছেন একটি ভোটের সন্ধানে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বাইচুংকে নিরাশ করবে না বাংলা।