নয়াদিল্লি: ব্যাগ গোছাচ্ছেন বাবুল। বাক্স-প্যাঁটরা। মনে মনে হয়ত বা বলছেন ‘জব ছোড় চলে হম লখনউ নগরী/ কহেঁ হাল কে হম পর কয়া গুজরী।’ অবশ্য বাবুল লখনউ নগর না, ছেড়ে যাচ্ছেন রাজধানী দিল্লি। আর তাই ব্যাগ গোছানো। তবে কবে পাকাপাকি ভাবে ছাড়ছেন তা নিয়ে ইতিউতি গসিপ, ফিসফিস। এখনও ইস্তফা দেননি আসানসোলের সাংসদ। কিন্তু খবর সেটা না বাবুলের মাথাব্যথা তাঁর পোষ্যদের নিয়ে।
পাকাপাকি ভাবে কলকাতা যাওয়ার সময় প্রথমেই এটা মাথায় এসেছিল। বাবুলের সংসারে চোদ্দটা পাখি আর ছ’টা কুকুর রয়েছে। মাথাব্যথা এটাই, কীভাবে এদের কলকাতা পাঠানো যায়। আরও একটা পাগ ছিল বাবুলের। ছোট এডি গত মার্চে বাবুলকে ছেড়ে যায়। হঠাৎ করেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। বাবুল তো বটেই দুই মেয়ে শর্মিলী আর নয়নাও এডির বিদায়ে খুবই আঘাত পেয়েছিল। বাবুলের বুল ডগ মস্তিফের মন খারাপ ছিল বেশ কয়েক দিন। বাবুল বরাবরই খুব পোষ্যপ্রিয়। তাই দিল্লি ছাড়ার আগে পাখি আর কুকুরদের নিয়ে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন-আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা কবে বাবুলের? একাধিক টুইট ঘিরে জল্পনা
যাই হোক শেষপর্যন্ত একটা উপায় বেরিয়েছে। চোদ্দটা পাখি আর ছয় সারমেয়দের টিকিট কাটা হয়েছে। রাজধানী থেকে বিশেষ ট্রেনে বাবুলের পাখি আর কুকুরেরা রওনা দিয়েছে। বাতানুকুল কামরা। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। হাওড়া স্টেশনে ওদেরকে রিসিভ করবে বাবুলের বাড়ির লোকজন। আর বাবুল মনে মনে গাইছেন, ‘জব ছোড় চলে হম দিল্লি নগরী/ কহেঁ হাল কে হম পর কয়া গুজরী। বাস্তবে সত্যিই গান নিয়ে ব্যস্ত বাবুল। পুজোর গান তৈরি করছেন দিদির জন্য।