গুয়াহাটি: অসম-মিজোরাম সীমানায় সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক দিবস ঘোষণা অসম সরকারের। মৃতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে শোক দিবস পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার অসম মিজোরাম সীমানায় বিরোধের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন অসম পুলিশ সহ একজন সাধারণ মানুষ। সংঘর্ষের ঘটনায় ৩-৪ জন সাধারণ বাসিন্দা-সহ আহত অন্তত ৪০।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জনস্বার্থ মামলা খারিজ হাইকোর্টের
(Picture Courtesy: Twitter @himantbiswa)
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা শুনে তিনি মর্মাহত। গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন মৃতদের পরিবারের প্রতি। পাশাপাশি তিনি এক হাত নিয়েছেন বিজেপি সরকারকে। এই ধরনের ঘটনা ভারতবর্ষের মানুষের প্রাপ্য নয়।
Shocked & Stunned to hear about the ruthless violence that has transpired at the #AssamMizoramBorder. My condolences to the bereaved families.
Such unremitting incidents under @BJP4India's watch have invited the death of democracy in our nation.
INDIA DESERVES BETTER!
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) July 27, 2021
আরও পড়ুন: চরম সংকট, রাত জেগে লাইন দিয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন
সমবেদনা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। তিনি জানিয়েছেন, এই ক্ষত দ্রুত সারিয়ে উঠুক অসম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ব্যর্থ। দেশে হিংসা ছড়াচ্ছে। ভারতের অবস্থা ভয়াবহ। প্রসঙ্গত, এই ঘটনার মাত্র দুদিন আগে গত শনিবার শিলংয়ে উত্তর-পূর্বের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই দুই পড়শি রাজ্যের মধ্যে এই সংঘাতে উত্তাপ ছড়িয়েছে গোটা অঞ্চলে।
Heartfelt condolences to the families of those who’ve been killed. I hope the injured recover soon.
HM has failed the country yet again by sowing hatred and distrust into the lives of people. India is now reaping its dreadful consequences. #AssamMizoramBorder pic.twitter.com/HJ3n2LHrG8
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 27, 2021
আরও পড়ুন: পর্নোগ্রাফি মামলায় শার্লিনকে সাময়িক স্বস্তি মুম্বই হাইকোর্টের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে রাজ্যের ভূখণ্ডের মধ্যে একটি ছাউনি তৈরি করছিল অসম পুলিশ। এই ঘটনা থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি। কী কারণে ছাউনি বানানো হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে জড়ো হয়ে যান হাজার-হাজার মানুষ। সমস্যা মেটাতে অসম এবং মিজোরাম পুলিশ আলোচনা শুরু করে। অভিযোগ, আলোচনার চলাকালীন মিজোরামের বাসিন্দাদের একাংশ পাথর ছুড়তে শুরু করেন। পাল্টা পাথর ছোড়েন অসমের একদল ব্যক্তিও। রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা এলাকায় পৌঁছালেও পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। টিয়ার গ্যাসর শেল এবং এয়ারগানের গুলিও ছোড়া হয়।