জলপাইগুড়ি: দম্পতি আত্মহত্যা মামলায় জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। মঙ্গলবার আদালতের ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মহহ্মদ জাফর পারভেজ ওই পরোয়ানা জারি করেছেন। এদিন আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্য়ায় টেলিফোনে জানান, ওই ঘটনার তদন্তকারি অফিসার তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেছিল আদালতের কাছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর এপ্রিল মাসের ১ তারিখ জলপাইগুড়ি শহরের পাণ্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। তাঁদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে এই ঘটনার জন্য জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও মনোময় সরকার ও সোনালী বিশ্বাসকে দায়ী করেন। এই ঘটনার পরে সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায় কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। এর পরই গত ১০ মে সন্দীপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে ১২ মে গ্রেফতার হয় সোনালী। যদিও দুজনেরই জামিন হয়ে যায়।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে সৈকতের সার্কিট বেঞ্চে জামিনের আবেদন করলে গত ১৬ জুন ওই জামিন খারিজ করে দেয় আদালত। তারপর থেকেই সৈকত পলাতক বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এদিন সৈকতের আইনজীবী সন্দীপ দত্তের দাবি, সৈকত পলাতক নন। তিনি সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছেন। সেই মামলা এখন পেন্ডিং আছে। সুতরাং সে এখনও বিচারাধীন মধ্যে রয়েছেন, পালিয়ে যাননি। তাহলে তদন্তকারি অফিসার যেভাবে আদালতে আবেদন করেছেন সেটা সঠিক হয়নি। তাই এই বিষয় নিয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।