কলকাতা: স্বাস্থ্য দফতরে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের জন্য শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের কমিটি নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠল। কেন এই ধরনের কমিটি, তা জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পীযূষ পাত্র নামে এক সমাজসেবী। মামলা গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, কমিটির নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এই মামলার ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর। রাজ্য সরকারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন এই কমিটি করা হল, নিয়োগের ক্ষেত্রে এই কমিটির ভূমিকা কতটা। রাজ্যের ওই হলফনামা পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীকেও হলফনামা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন কাজের জন্য ১১৫২১ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী নেওয়া হবে। ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন হাসপাতালে বহু পদ বছরের পর বছর ধরে শূন্য পড়ে রয়েছে। সরকার বিরোধী ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠন শূন্য পদগুলি পূরণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: বাবরি মামলায় সিবিআই, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে হলফনামার জন্য ২ সপ্তাহ সময় দিল আদালত
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ওই সব পদে নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর ওই সিলেকশন কমিটি গঠন করা হয়। শাসকদলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের রাখা হয়েছে ওই কমিটিতে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিনয়কৃষ্ণ বর্মণের মতো মন্ত্রীরা রয়েছেন ওই কমিটিতে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ৪৭ শতাংশ, উত্তরের আবহাওয়া স্বাভাবিক
মামলাকারীর অভিযোগ, ওই কমিটির মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ হলে ফের স্বজনপোষণ হবে। শাসকদলের সমর্থকদেরই চাকরি হবে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, এই ক্ষেত্রেও স্কুল সার্ভিস কমিশন, টেটের মতো টাকার খেলা চলবে।