ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করেই পাহাড়ে স্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি বা মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক। আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি স্পষ্ঠভাবে জানিয়েছেন, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে ব্যাথিত। জিটিএ-র আওতায় থাকা দার্জিলিং পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্স এলাকার আইনশৃঙ্খলা, শান্তি বজায় রাখা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। সেখানকার স্থায়ী সমাধানও ত্রিপাক্ষিক বিষয়। তাই রাজ্য প্রশাসনকে না জানিয়ে সেখানে কেন একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করা হল? সেই প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Here goes my letter to the Hon’ble Prime Minister of India, communicating my surprise and shock at the unilateral appointment by the Government of India of an interlocutor for the issues relating to Gorkhas in Darjeeling Hills, Tarai and Dooars regions of West Bengal. pic.twitter.com/nNN1OtqAeY
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 18, 2025
সদ্য পঙ্কজ কুমার সিংহকে দার্জিলিং ও তরাই-ডুয়ার্সের ইন্টারলোকুটর বা মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়ে গোর্খাদের দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিয়োগ করা হয়েছে এই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাকে। তিনি একজন অভিজ্ঞ জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ। সীমান্ত নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিষয়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই নিয়োগের আগে নবান্নের সঙ্গে নয়াদিল্লির কোনও আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর রাতে চলবে বিশেষ লোকাল ট্রেন, জেনে নিন সময়সূচি
গোর্খাদের দাবি, আরও বেশি স্বায়ত্তশাসন। বিজেপিও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গোর্খাদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আশ্বাস দিয়ে এসেছে প্রতি নির্বাচনের আগে।সেই আশ্বাসে ভর করে ২০০৯ সাল থেকে প্রতি নির্বাচনে বিজেপি সাংসদকে জিতিয়ে এনেছেন পাহাড়বাসীও। কিন্তু প্রত্যাশামতো ফল মেলেনি। তার অন্যতম কারণ অবশ্যই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তরফে পাহাড়ের ঢালাও উন্নয়ন।
দেখুন খবর: