কলকাতা: পঞ্চসায়র থানা এলাকা থেকে জয়ী বিরোধী সদস্যদের অপহরণ সংক্রান্ত মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামিকাল মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের (Calcutta High Court Judge Joy Sengupta) এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা। মথুরাপুরের বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের পঞ্চসায়র থানা এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে অপহরণ করা অভিযোগ উঠেছিল। সে ব্যাপারে প্রবীণ সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় পুলিশে অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন প্রায় ১০ জন জয়ী সদস্য। ওই সদস্যদের দাবি, আদালত তাঁদের নিরাপত্তা দিক। উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে বোর্ড গঠন করতে হবে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিক আদালত।
বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, শাসকদল যাতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে পারেন তার জন্যই বিরোধী সদস্যদের অপহরণ কার হয়। তাঁদের নানা ভাবে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়াতে চার সদস্যকে পঞ্চসায়রের ওই গেস্ট হাউস থেকে অপহরণ করা হয়। অভিযোগ, রাতের খাওয়া ফেলে রেখে বন্দুকের মুখে গাড়িতে চাপিয়ে মাঝ রাতে তাদের সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকেই এক ভিডিও বার্তায় ওই সদস্যদের বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁরা ভালো আছেন। সময়মতো বাড়ি ফিরবেন। তাঁদের অপহরণ করা হয়নি। স্বেচ্ছায় তাঁরা চলে এসেছেন। বোর্ড গঠন হলেও ফিরে যাবেন। পরের দিনই অবশ্য ওই চার সদস্যকে ছেড়েও দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে তাঁরা দাবি করেন, তাদের দিয়ে জোর করে ওই সব কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বন্দুক ঠেকিয়ে গেস্ট হাউস থেকে অপহরণ করা হয়। তাঁদের আরও বক্তব্য ছিল, কেউ তৃণমূলে যোগ দেবেন না।
আরও পড়ুন: দিল্লি এইমসের এন্ডোস্কোপির ঘরে আগুন, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি রোগীদের
বিরোধী নেতারা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের অভিযোগ শাসকদল এবং পুলিশের যোগসাজে গোটা কাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। পরবর্তীকালে বিজেপি নেতা ওই সদস্যদের বাড়িও যান। আইনি লড়াইয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।