কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগরের এক শিক্ষিকা (Teacher) ক্লাসের মধ্যে এক সংখ্যালঘু ছাত্রকে থাপ্পড় (Slap) মারতে বললেন। যে ভিডিও ভাইরাল (Viral) হয়েছে। ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষিকা থাপ্পড়ের ঘটনায় ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমি বিশেষভাবে সক্ষম, তাই অন্য পড়ুয়ারকে দিয়ে থাপ্পড় মারতে বলেছিলাম।” যদিও শিক্ষক সাম্প্রদায়িক শব্দ ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠছে সর্বত্র। এবার ওই ঘটনার আঁচ পড়ল এ রাজ্যেও। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নিন্দা করেছেন।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “উত্তরপ্রদেশের ছাত্রকে থাপ্পড়ের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। চারিদিক থেকে চাপ তৈরি হওয়ার পর পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে, কিন্তু ৫০৫ ও ৫০৬ ধারায় কেন? তারা মামলার তদন্তও করতে পারবে না, কারণ এগুলো খুবই সহজ ধারা। তারা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুষ্টুমির অভিযোগ এনেছে!” অন্যদিকে তৃণমূলের বাকি নেতাদের প্রশ্ন, বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার ঘৃণার রাজনীতি ছড়ানো ছাড়া আর কী করতে পারে?
আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনের মুখেই দলবদল কেশিয়াড়িতে
সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি এখন স্কুলেও পৌঁছে গিয়েছে, যেখানে ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। এই বিভেদমূলক রাজনীতি জাতপাত ও ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিভক্ত করছে। এটা এখন ছোটো বাচ্চাদের বিভক্ত করছে, যাদের শিক্ষকরা একে অন্যকে মারতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। গতকাল কলকাতায়ও আমরা ‘গোলি মারো’ স্লোগান শুনেছি, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের ভারত সবসময় একসাথে ছিল এবং থাকবে।”
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “শিশুটির সাথে এমন নিষ্ঠুর আচরণ কেন করা হয়েছিল? সম্ভবত, তার একমাত্র ভুল ছিল যে সে একজন মুসলিম। একজন শিক্ষক, যাঁর সমাজের উন্নয়নের কথা বলা উচিত তিনি ছোটো বাচ্চাদের সাম্প্রদায়িকতা শেখাচ্ছেন। তিনি শিশুদের ঘৃণা ও সহিংসতার জন্য উস্কানি দিয়েছিলেন। এই ঘটনাটি শিক্ষক সম্প্রদায়কে অপমান করেছে এবং দেখিয়েছে যে কীভাবে ভারতবর্ষের একজন শিক্ষক ছোটো বাচ্চাদের মনে সাম্প্রদায়িক অশান্তির বীজ বপন করেছিলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”