বীরভূম: আসন্ন ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2026) আগে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সাংগঠনিক রদবদল। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বীরভূমের জন্য সাতজনের কোর কমিটি গঠন করল তৃণমূল। পাশাপাশি দুজন সাংসদকে সদস্য করা হয়েছে কমিটির। শুধু তা-ই নয়, বীরভূমের জেলা সভাপতি পদই আর রাখল না শাসকদল। তা তুলে দেওয়া হল। শুক্রবার দলের জেলা সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। এই তালিকা দেখে স্পস্ট তৃণমূল নেত্রীর নজরদারিতে সংগঠনের রদবদল। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে বড়সড় পরিবর্তন শাসকদলের কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
একুশে জুলাই, ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে দলের রদবদলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের ফলের ভিত্তিতেই সাংগঠনিক নেতৃত্বে নতুন মুখ আনতে কম-বেশি ১৫টি জেলাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কয়েকটি শাখা সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বেও নতুন মুখ আনার ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল–সহ একাধিক মাপকাঠি সামনে রেখে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে রদবদল করা হবে। শুক্রবার জেলা সভাপতি এবং চেয়ারপার্সনদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তাতেই স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, জেলায় দলের সংগঠন দেখভাল করবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটিই। ন’সদস্যের ওই কমিটিতে অবশ্য অনুব্রত রয়েছেন। তবে জেলায় দলের চেয়ারপার্সন পদটি অক্ষুণ্ণই রয়েছে। ওই পদে রয়েছেন রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টা পুলিশ সংযম দেখিয়েছে,‘বাধ্য হয়েই বলপ্রয়োগ’: ADG দক্ষিণবঙ্গ
জানা গিয়েছে, বীরভূমে সাত সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল, অভিজিৎ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরী, সুদীপ্ত ঘোষ, কাজল শেখ। এছাড়া দুই সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল কোর কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। গরুপাচার মামলায় ২০২২ সালে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। জেলা সংগঠনের কাজকর্মের জন্য কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ার পরেই বীরভূমে কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা। কমিটিতে রেখেছিলেন কাজল শেখকে। অনুব্রতের গ্রেফতারির পরেও জেলায় দলের জেলা সভাপতি পদ ছিল।পরে যখন তিনি জেল থেকে ছাড়া পান, আলাদা করে তাঁকে ওই পদে বসানোরও কোনও বিষয় ছিল না। তবে দলনেত্রী মমতা বার বার কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোর কমিটির সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কেষ্টকে দল চালাতে হবে। তারপরেও অনুব্রত কোর কমিটিকে এড়িয়ে কাজ করছিলেন। তাতে জেলার নেতাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ে। দলীয় সূত্রে দাবি, সেই সব খবর শীর্ষ নেতৃত্বের কানে গিয়েছিল। এ বার জেলা সভাপতি পদটাই তুলে দিয়ে কড়া বার্তা দিল দল।
অন্য খবর দেখুন