নয়াদিল্লি: গরুপাচার কাণ্ডে তিহাড় জেলে অনুব্রত মণ্ডল সহ তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। জেলের সেল আলাদা হওয়ায় একে অপরের খবর পান না খুব বেশি। দেখা হওয়ার সুযোগও কম। শুক্রবার আদালত কক্ষে বাবাকে দেখতে না পেয়ে সায়গলের কাছে সুকন্যা জানতে চান বাবার কথা। উত্তরে সায়গল জানান, শরীর ভাল নেই তাঁর। হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। এ কথা শুনে আদালতেই কেঁদে ফেলেন সুকন্যা। এদিন ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে অনুব্রত, সুকন্যা ও সায়গলের। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মার্চ মাস থেকে তিহাড় জেলে রয়েছেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত। ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার যুক্তি দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কেষ্ট। বুধবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ছিল সেই জামিন মামলার শুনানি। অনুব্রতর পক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী মুদিন জৈন। তাঁর দাবি, জেলে থাকার জেরে দিনকে দিন তাঁর মক্কেলের শরীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। শুনানির পর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। জুনের পর ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভারতীয় সেনার হাতে আসছে অ্যাপাচে হেলিকপ্টার
প্রসঙ্গত, তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাও। চলতি বছরেই গোরু পাচার মামলায় তাঁকেও গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গত শনিবার জেলের মধ্যেই বাবা ও মেয়ের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়। সেখানে অনুব্রতকে দেখেই অঝোরে কেঁদে ফেলেন সুকন্যা। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি। এদিকে বাবার মতো মেয়েও দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের পর জামিনের আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, গরু পাচার মামলায় তাঁকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।