ওয়েব ডেস্ক: ডিজিটাল অ্যারেস্টের (Digital Arrest) নামে হাওড়ার (Howrah) এক বৃদ্ধের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিল দুষ্কৃতীরা। পরে হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার সেল আধিকারিকরা তদন্তে নেমে অভিযুক্ত একজনকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় ছয় লক্ষ সতেরো হাজার টাকা। ধৃত কপিল কুমারকে শনিবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
হাওড়ার বেলুড় থানার অন্তর্গত ঘুসুড়ির ৭৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তি সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পড়েন। গত ১১ মার্চ মানি লন্ডারিং ও অন্য কেসে তাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হয় বলে জানায় দুষ্কৃতীরা। মুম্বইয়ের কোলাবা পুলিশ স্টেশনের পুলিশের পোশাক পরে একজন ওই বৃদ্ধকে ভিডিও কল করে বলে তাকে ডিজিটাল এরেস্ট করা হয়েছে। তিনদিন তিনি ওই অবস্থায় থাকেন। তারপর অন্য একটি নম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টের নকল অর্ডার সিট হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে করে তাকে গ্রেফতারের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন অবরোধ যাত্রীদের
অভিযোগ, তিনি কালো টাকা পাচার এবং মুম্বাই এয়ারপোর্টে কাস্টমসে তার নামে বেআইনি মাল আটকে আছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে ৩০ লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়। টাকা পাঠানোর পর অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তিনদিন পর তিনি হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় তদন্ত নেমে হাওড়া সিটি পুলিশ উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের ৩১ বছর বয়সী কপিল কুমার নামে একজন ডেলিভারি ম্যানকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কপিল কুমারের অ্যাকাউন্টে ২০ লক্ষ টাকা জমা পড়ে। যার মধ্যে তিনি ১৯.৫০ লক্ষ টাকা ‘Spice Money’-তে পাঠান এবং নিজে ৫০ হাজার টাকা রেখে দেন। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে ৬.১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যে ব্যক্তি ফোন করেছিল সে কপিলের সহকারি। তার খোঁজ চলছে বলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থ বিশপ সরকার।
তিনি বলেন, কেওয়াসিসিতে যে ফোন নম্বর ছিল তার লোকেশান ট্র্যাক করেই নয়ডা থেকে কপিলকে ধরা হয়। কপিল তার অপরাধ স্বীকার করেছে৷
দেখুন আরও খবর: