ঝাড়খণ্ড: আবারও ঝাড়খণ্ডে কি ফিরতে চলেছে বাঘ আতঙ্ক! মনে করা হচ্ছে তাই। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাংলা সংলগ্ন সরাইকেলা-খরসোওয়া জেলার তুল গ্রামের বালিডি জঙ্গলে ফের দেখা মিলেছে একটি বাঘের।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে ছিল বাংলা সীমান্তে বাঘ আতঙ্ক। বাঘিনি জিনাত ওড়িশার জঙ্গল থেকে চলে আসে ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আর তারপরেই সে ঢুকে পড়ে বাংলার বুকে। পুরুলিয়াতে বেশ কিছুদিন অবাধ বিচরণ করে সে। বন দফতরের তরফ থেকে বাঘিনি জিনাতকে নিজেদের বাগে আনার জন্য বিভিন্ন রকম প্রয়াশ করা হয়। কিন্তু কোনভাবেই সে বন দফতরের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছিল না। এমনকি টোপেও হচ্ছিল না কাজ। তারপরেই সে পুরুলিয়া থেকে পারি দেয় বাঁকুড়ায়। অবশেষে গত রবিবার বাঘিনি জিনাতকে বন দফতরের কর্মীরা নিজেদের বাগে পান। প্রায় কয়েক সপ্তাহ পর। ঘুম পাড়ানি গুলিতে তাকে কাবু করা হয়। ইতিমধ্যেই বাঘিনিকে আবারও পাঠানও হয়েছে ওড়িশায়।
আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার বিপুল অঙ্কের জাল নোট
এই আতঙ্কেই এতদিন দিন কাটিয়েছেন ঝাড়খণ্ডবাসী। তার কিছুদিন কাটতে না কাটতেই আবার ঝাড়খণ্ডে দেখা মিলল বাঘের। প্রত্যক্ষদর্শী এক ছেলে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে জঙ্গলে দুটি গরুর উপর এক বাঘকে আক্রমণ করতে দেখে সে। এক গরুকে ধরতে না পারলেও অন্যটির গলায় কামড় দেয় সে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বাঘ বা চিতাবাঘের মতো পায়ের ছাপও মেলে, আর যা থেকে প্রমাণিত জঙ্গলে আবারও দেখা মিলেছে বাঘের।
সরাইখেলা-খরসোওয়ার ডিএফও সাবা আনসারি তিনি জানিয়েছেন, যেই পায়ের ছাপটি মিলেছে তাতে মনে করা হচ্ছে রয়াল বেঙ্গল টাইগার। ইতিমধ্যেই বন দফতরের তরফ থেকে শুরু হয়েছে নজরদারি। ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে জঙ্গলে। বাঘ আছে কিনা তা দেখার জন্য।
তবে যেই প্রাণীর দেখা মিলেছে তা বাঘ নাকি চিতাবাঘ, তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন বন দফতরের কর্মীরা। তবে যাই হোক না কেন ঝাড়গ্রামবাসী আবারও আতঙ্কে দিন যাপন শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই, স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে জঙ্গলে যাওয়ার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর