ঝাড়গ্রাম: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলা (Convoy Attack) এবং রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সিআইডির (CID) জালে আরও এক প্রভাবশালী কুড়মি নেতা। নাম কৌশিক মাহাতো (Kaushik Mahato) । ঝাড়গ্রামের গড় শালবনি এলাকার বাসিন্দা তিনি। সিআইডি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত ১ টার সময় কলকাতা উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন কৌশিক। সেই সময়ই সিআইডির হাতের গ্রেফতার হয় সে। এই নিয়ে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১। জানা গিয়েছে আজ কৌশিক মাহাতোকে ঝাড়গ্রামের এডিজে ওয়ান আদালতে পেশ করা হবে।
গত ২৬ শে মে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচির দিন গড় শালবনি এলাকায় দেখা গিয়েছিল কৌশিক মাহাতোকে। ঘটনার রাতেই আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাতো, গড় শালবনি গ্রামের মনমোহিত মাহাতো, অনিত মাহাতো, অজিত মাহাতো সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। তারপর ২৭ শে মে বিকেলে ওডিশা বর্ডার সংলগ্ন নয়াগ্রাম এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিষেকের কনভয় হামলা এবং মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে FIR করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ মামলা শুরু করে। কৌশিকের পর ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।
আরও পড়ুন: Devjani Mukherjee | Sarada Case | দশ বছর পর জেলমুক্তি দেবযানী মুখ্যোপাধ্যায়ের
এদিকে, কুড়মি আন্দোলন নিয়ে রাজ্য সরকারের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে ও সামাজিক নেতাদের অকারণ হেনস্থার প্রতিবাদে জঙ্গলমহলের প্রতিটি থানায় ডেপুটেশন বিক্ষোভ কুড়মিদের। শুক্রবার নিজেদের দাবীর সমর্থনে বাঁকুড়ার খাতড়া, রাইপুর, রানীবাঁধ, সিমলাপাল ও সারেঙ্গা থানায় ডেপুটেশন দেন কুড়মি সমাজের নেতৃত্ব। কুড়মি নেতৃত্বের দাবী, কুড়মিদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার দাবীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দমাতে দ্বিচারিতা করছে রাজ্য সরকার। তারা আরও বলেন, একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলছেন ওই ঘটনায় কুড়মিরা যুক্ত নয়। অন্যদিকে একের পর এক কুড়মি নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমনকী, গ্রেফতার হওয়া কুড়মি নেতাদের নি:শর্ত মুক্তি ও হেনস্থা বন্ধ না হলে আগামিদিনে জঙ্গলমহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কুড়মিরা।
