ওয়েব ডেস্ক: বাংলার প্রাচীন নগরীগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর (Bishnupur)। মল্ল রাজাদের রাজধানী হিসেবে পরিচিত এই আদি শহরের একটা ডাকনামও রয়েছে, আর সেটা হল- ‘গুপ্ত বৃন্দাবন’। ইতিহাস বুকে নিয়ে বেঁচে থাকা বাঁকুড়ার এই শহর আজও বৃন্দাবনের প্রতিরূপ। রাসযাত্রা, দোলযাত্রা, ঝুলনযাত্রা থেকে রথযাত্রা- সবই এখানে পালিত হয় প্রাচীন রীতি মেনেই। তবে সোজা রথে এতটা জাঁকজমক না হলেও বিষ্ণুপুরের উল্টোরথ (Bishnupur Ulto Rath) আজও একইভাবে জনপ্রিয়।
আজ ভগবান জগন্নাথের উল্টোরথযাত্রা। আর এই উৎসবকে ঘিরে জমজমাট বিষ্ণুপুর। কারণ এখানে রথের সঙ্গে জমে ওঠে ‘আট পাড়া’ ও ‘এগারো পাড়া’র লড়াই। আজ সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে একদিকে এঁড়ে গরু ও অন্যদিকে গড়ুর- দুই পাড়ার দুই প্রতীক নিয়ে দুই রথ নামবে বিষ্ণুপুরের রাস্তায়। প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী নির্দিষ্ট রুট ধরেই এই দুই রথ ঘুরবে বিষ্ণুপুর শহর৷ বাদ্য যন্ত্র, আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে দুই পাড়ার রথে সওয়ার হয়ে নগর ঘুরবেন রাধা মদনগোপাল ঠাকুর ও রাধালাল জিউ, কৃষ্ণরায় ও গোবিন্দ রায়।
আরও পড়ুন: কলকাতায় উল্টোরথের রুট কী? যানজট এড়াতে এখনই জানুন
একদিকে মাধবগঞ্জ ‘এগারো পাড়া’র রথ, অন্যদিকে ‘আট পাড়া’ হল কৃষ্ণগঞ্জের রথ। এগারো পাড়ার রথে সওয়ার হন রাধা মদনগোপাল জিউ। এদিন সকাল বেলায় মন্দির থেকে কীর্তন সহকারে প্রাচীন পিতলের রথে নিয়ে আসা হয় রাধা মদন গোপাল জিউ ঠাকুর কে। সেখানে পুজো পাঠের মধ্য দিয়ে চলে রথের রশিতে টান দেওয়ার পর্ব।
একইভাবে আট পাড়া কৃষ্ণগঞ্জের রথে নিয়ে আসা হয় রাধালাল জিউ ঠাকুরকে। চলে রথের রশিতে টান দেওয়ার পর্ব। সকালে প্রতীকি রথের রশিতে টান দেওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে যায় উল্টোরথের প্রস্তুতি। সন্ধ্যে নামলেই আলোর সুসজ্জিত চৌদালে করে নগর ঘুরবেন ভগবানের দুই স্বরূপ। আর এই রথ উতসব ঘিরে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা রয়েছে বিষ্ণুপুর জুড়ে।
দেখুন আরও খবর: