রামপুরহাট: বগটুইয়ে অগ্নিকাণ্ডের (Rampurhat Violence) পর থেকেই তাঁর ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় গ্রামবাসীদের কয়েকজন তাঁকে একাধিকবার ফোন করেন৷ অভিযোগ, তাঁদের বাঁচানোর আর্তিতে সাড়া দেননি আনারুল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘটনাস্থলে গিয়ে আনারুলকে (Anarul Hossain) গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন৷ সেই নির্দেশের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করা হয়। তার পরই আনারুলকে রামপুরহাট-১ ব্লকের প্রেসিডেন্ট থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানায় তৃণমূল।
রামপুরহাট -১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি করা হয়েছে সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে। যদিও রামপুরহাট-১ ব্লকের বাসিন্দা নন জিম্মি। রামপুরহাট পুরসভা এলাকার বাসিন্দা জিম্মি ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আজ থেকেই কাজ শুরু করছেন জিম্মি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন জিম্মি। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিরাজ জিম্মি।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেশ কিছু দিন ধরেই আনারুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছি। ঘটনার পর তাঁর নাম উঠে এসেছে। দ্রুত আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁকে। তা না হলে পুলিসকে নির্দেশ দেব, যেখান থেকে হোক তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। কোনও রকম অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমি এর মধ্যে কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করব না।’ বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় আনারুল শেখকে। যদিও আনারুল দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে৷ তিনি নির্দোষ৷
আরও পড়ুন: Anarul Hossain: নেতা আনারুলের উত্থান কীভাবে? বায়োডেটা দেখল কলকাতা টিভি ডিজিটাল
বছর ৫২ আনারুল হোসেন বীরভূমের রামপুরহাট শহর লাগোয়া সন্ধিপুর এলাকার বাসিন্দা৷ রাজনীতিতে আসার আগে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন৷ সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কংগ্রেস করতেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সেখান থেকে ধীরে ধীরে প্রভাবশালীদের সঙ্গে ওঠাবসা। সাধারণ তৃণমূল সদস্য থেকে ব্লক সভাপতি হওয়া। আনারুল রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিধানসভার বর্তমান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।