পূর্ব বর্ধমান: টোল প্লাজার ( Toll plaza) এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ সাংসদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মন্ডলের (Burdwan Purba MP Sunil Mondal) বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পালশিট টোল প্লাজার এক কর্মীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি টোল প্লাজার সামনে সাদা একটি গাড়ি দাঁড় করিয়েছেন এক টোল কর্মী। এরপরই গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। টোল কর্মীর দিকে ধেয়ে যান। তাঁকে ধাক্কাও দেন। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল মন্ডলের (Sunil Mondal) বিরুদ্ধে জাতীয় সড়কের পালশিট টোল প্লাজার এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠে। আর সেই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটের একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন সুনীল মন্ডল। কলকাতা থেকে পালশিট টোল পেরিয়ে যাবার সময়ে কর্তব্যরত টোল কর্মী উজ্জ্বল সিং সর্দার নিয়ম মেনেই গাড়ি আটকায় টোল নেবার জন্য। সেই সময়ের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গাড়ির সামনে একটি লাল ফাইবারের স্ট্যান্ড লাগিয়ে দেন উজ্জ্বল নামে ওই কর্মী। চালক সেই প্লাস্টিকের স্ট্যান্ড ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করেও না পেরে গাড়ি পিছোতে থাকেন।
ঠিক সেই সময়েই গাড়ির পিছনে বাম দিকে বসে থাকা সাংসদ সুনীল মন্ডল গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে যান উজ্জ্বল সিং সর্দার নামে ওই কর্মীর দিকে। তার গলা টিপে ধরে তাকে মারধর করেন তিনি। ঘটনার আকষ্মিকতায় হতচকিত হয়ে পড়েন উজ্জ্বল। সাংসদের সঙ্গে থাকা সরকারি নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালকও তার দিকে তেড়ে যায়। পরে টোলের অনান্য লোকেরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আরও পড়ুন: বেহালায় মাটির লরিতে পিষ্ট বাবা-ছেলে, রণক্ষেত্র এলাকা
একজন সাংসদ এভাবে গাড়ি থেকে নেমে মারধর করায় রীতিমতো আতঙ্কিত টোলের ওই কর্মী কোনভাবেই কোন কথা বলতে রাজি হননি। বারবার প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, আমি শুধু আমার ডিউটি করেছি। এভাবে কেন উনি মারলেন। গোটা ঘটনাটি পালশিট টোলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতেই সকলেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। যদিও মারধরের অভিযোগ মানতে চাননি সুনীল মণ্ডল। পাল্টা তাঁর দাবি, টোল কর্মী মদ্যপ ছিলেন। তারপরও এই ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত বলে জানান। এর জন্য আমি দুঃখিত।
প্রসঙ্গত পালশিট টোলের কর্মীদের অনেকেই শাসকদলের সক্রিয় কর্মী। ফলে দলেরই সাংসদের বিরুদ্ধে কেউ মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ না জানালেও থানায় ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন তারা। বিষয়টি জানানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে।