কোচবিহারঃ ডিসিআরসি সেন্টারের স্ট্রং রুমের (Strong Room) মনিটরিং রুম থেকে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস কর্মীদের বের করে লাঠি চার্জ করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) জওয়ানদের বিরুদ্ধে। ঘটনা নিয়ে ডিসিআরসি স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ফুটেজ রিভাইস করে দেখানোর দাবি জানিয়ে জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।
সোমবার জেলা কার্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেন, কোচবিহার ডিসিআরসি সেন্টারে ২টি স্ট্রং রুম করা হয়েছে একটি পলিটেকনিক কলেজ এবং অপরটি বিটি এন্ড ইভিনিং কলেজে। যার সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিং রুম পলিটেকনিক কলেজে রয়েছে। যেখানে সমস্ত দলের কর্মীরা থাকেন। তৃণমূলের ২ জন করে তিন শিফটে থাকে। তবে রবিবার রাতে হঠাৎই বিজেপি কর্মীরা থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেখান থেকে বের করে দেন।
আরও পড়ুন: ভোটের চাঁদা না দেওয়ায় তৃণমূল বন্ধ করে দিল রিসর্টের গেট, অভিযোগ জলপাইগুড়িতে
অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, এই খবর পাওয়া মাত্র আমি নিজে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। সেখানে পৌঁছে দেখি আমাদের কর্মীদের উপর কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করেছে। পরবর্তী বিষয়টি নিয়ে কথা বলি। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলার পর পরবর্তীতে আমাদের কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। তবে রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সেখানে আমাদের কর্মীদের বের করে দেওয়া হয়েছিল কেন? এর পিছনে কি উদ্দেশ্যে রয়েছে। তাই তিন ঘন্টার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রিভাইস করে দেখতে চাই। তার কারণ আমাদের সন্দেহ বিজেপি প্রার্থী তিনি হারতে পারেন সে কারণে তিনি যেকোনো পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। একই সঙ্গে যারা এ ধরনের কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস বলেন, সম্পূর্ণ হাস্যকর ব্যাপার। আসলে তারা বুঝে গিয়েছেন তারা হেরে বসে আছে। তাই কর্মীদের মন বল বাড়াতে রেজাল্ট এর আগে বিজয় মিছিল করেছে। মনিটরিং রুমে সমস্ত দলের কর্মীরাই থাকে। বাজার গরম করে কর্মীদের চাঙ্গা রাখতেই এই অভিযোগ করছে।
আরও খবর দেখুন