মিনাখাঁ: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। মিনাখাঁর ৪ নম্বর চৈতলে একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
শনিবার পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পরেই ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ওইদিন গভীর রাতে মিনাখা থানার ৪ নম্বর চৈতলে এলাকায় সন্তু পাত্র, যোগেন্দ্রনাথ করন, নির্মল দাসসহ প্রায় চারজন বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক পরিমাণে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাড়ির জানালার কাজ, টিভি, আলমারি, রান্নার গ্যাস, সরঞ্জাম সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যাপক পরিমাণে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকি আলমারি ভেঙে নগদ টাকা-পয়সা ও গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ি করেছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | Arambagh | ভোট দিতে গেলেন না ৭০০ ভোটার
পাশাপাশি যোগেন্দ্রনাথ করণ নামে এক বিজেপি কর্মীর দোকান ভাঙচুর করে দোকানের জিনিসপত্র লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। এলাকার বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর করে ও তৃণমূল কর্মীদেরকে বাড়ি ছাড়া করে। আমরা রাতভর এলাকা ছাড়া ছিলাম। সকালে এলাকায় ঢুকেছি। পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে হয়েছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জেলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে অশান্তি ও সংঘর্ষের ছবি সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। সোমবার পুননির্বাচনের দিনও একাধিক এলাকায় সন্ত্রাসের ছবি দেখা যাচ্ছে। একাধিক এলাকায় বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ উঠছে শাসক-বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। এমনকী ক্যামেরার সামনে পোলিং অফিসারকে ভয়ে কাঁদেতও দেখা গিয়েছে। তারই মধ্যে ভোট করেছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ থেকে পোলিং এজেন্টদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।