মালদহ: মিজোরামে (mizoram) রেলসেতু ভেঙে (Railway Bridge Collapse) মৃতদের সবাই বাংলার। জানালেন আইজলের জেলাশাসক নাজুক কুমার। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত যাদের দেব উদ্ধার হয়েছে তামা সবাই পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহগুলি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জখম তিন জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তাঁরাও মালদহের (Malda) বাসিন্দা। তিনি বলেন, ব্রিজের যে অংশ ভেঙে পড়েছে ওই জায়গা অত্যন্ত দুর্গম। নীচে খাদ ও ঝোপ রয়েছে। তাই ঝোপে অনেক দেহ আটকে থাকতে পারে। এখনও তল্লাশি চলছে, তাই মৃতের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে জানান জেলাশাসক।
মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নির্মীয়মাণ রেলসেতু ভেঙে পড়ে বুধবার। মৃত শ্রমিকদের মধ্যে সকলেই মালদহের বাসিন্দা। এদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচ জন পুরুষ মারা গিয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় পুরুষ শূন্য গোটা পরিবার। পরিবারে রোজগেরে বলে তাঁরাই ছিলেন। গ্রামের কোনও বাড়িতে জ্বলেনি উনুন। শুধু ভেসে আসছে কান্নার রোল। বৃহস্পতিবার মালদহে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। সঙ্গে ছিলেন মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এই দুর্ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারের ঘাড়েই দায় চাপালেন অধীর।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে সিআইডির হাতে ধৃত ২, ক্ষুব্ধ বিচারপতি
অধীর জানান, এই রাজ্যের সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবে না। রাজ্যে কোনও শিল্প নেই, তাই বাধ্য হয়ে এখানকার মানুষ অন্য রাজ্যে কাজ করতে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ভিনরাজ্যে যেতে হবে না। এখানে এসে চা চপ ঘুগনির দোকান দিন। শ্রমিকদের জন্য এই সরকার কিছু ভাবে না। কোভিডের সময়টের পেয়ে ছিলাম শ্রমিরা কত বিপন্ন।
মালদহের জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। মৃত শ্রমিকদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মিজোরাম সরকার এবং রেলের সঙ্গে সমন্বয় রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেলের কাছেও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মালদহে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ সামিরুল ইসলাম। সম্প্রতি তাঁকে মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিহত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে গিয়েছিলেন।