বসিরহাট : স্বরূপনগর কলেজে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগের পারদ ক্রমশই চড়ছে। এবার টিচার্স রুমে শৌচালয়ে সামনে সিসিটিভি বসানোর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নিজেদের সম্মান বাঁচানোর আর্জি জানিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপ চাইছেন। চিঠি দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও (Bartya Basu)। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষক শিক্ষিকারা হাইকোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছেন। শৌচালয়ে সামনে সিসিটিভি বসানো ছাড়াও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের ১৯ জন শিক্ষক একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন।
শুক্রবার তাঁরা টির্চাস রুমেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। শুধু সিসিটিভি লাগানো নয় তাদের আরও অভিযোগস, জিবির অনুমতি ছাড়া অধ্যক্ষর ঘরে অডিও সিস্টেম রেখে গোপন কথা রেকর্ডিং করে রাখা হয়। তাদের দাবি ২০১৮ সালে অধ্যক্ষ এই কলেজে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রীতিমতো মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। এমনকি মানসিক হেনস্থা করছেন। গত পাঁচ বছর ধরে গভর্নিং বডি মিটিং মানেন না অধ্যাপিকা ডক্টর সুদীপ্তা হালদার মাইতি, ডক্টর পূরবি দাস, অধ্যাপক শুভাশিস প্রামাণিক সহ উনিশ জন অধ্যাপিকা সঙ্গে কোন বৈঠক করেন না। যে সভাপতির কোথাও শোনেন না। একনায়কতন্ত্র ভাবে কলেজ চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জেলা পরিষদের প্রথম স্থায়ী সমিতির বৈঠক বাতিল, অনুপস্থিত শাসকদলের সদস্যরা
স্বরূপনগর ব্লকের শহীদ নুরুল ইসলাম কলেজে (Saheed Nurul Islam Mahavidyalaya) অধ্যক্ষ ডক্টর আফসার আলী মানসিক কুরিচিকর মন্তব্য শালীনতার অভিযোগ তুলেছে। এই কলেজে তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে মোট ২৫ থেকে ৩০ টা সিসিটিভি আছে। কলেজের বিভিন্ন জায়গায় আমরা ও ছাত্রছাত্রীরা সিসিটিভির বিরুদ্ধে নই । অধ্যক্ষ সিসিটিভিকে ভুল ব্যবহার করে রাজ্যের কাছে কলেজকে বদনাম করছেন। পাশাপাশি সহকারী অধ্যাপক অধ্যাপিকা সম্মান সম্মানহানি করছেন। রীতিমতো মানসিক নির্যাতন চলছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। সিসিটিভির পক্ষে আমরা। কিন্তু শৌচালয়ের সামনে কেন সিসিটিভি লাগানো হল। টিচার্স কমনরুম ও ওয়াশরুমে সামনে কেন সিসিটিভি লাগানো হল। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন ভিডিও ফুটেছে সংগ্রহ করে মজা নিচ্ছেন। আমরা একা নই ছাত্রছাত্রীরা এর বিরুদ্ধে। ছাত্রছাত্রীরা বলছেন আমাদের সম্মানানী হচ্ছে গোপনে তাই আজকে আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী কাছে আর্জি আমাদেরকে বাঁচান। কলেজ পড়ুয়া থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান। এমনকি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। এই নিয়ে অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।