ওয়েবডেস্ক: দীঘার (Digha) নব নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর এই হাজিরা নিয়ে জলঘোলা বেড়েই চলেছে। বিজেপি পড়েছে আতান্তরে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেছিলেন। তা নিয়ে আগেই নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন দিলীপ। শুক্রবার ফের দিলীপ শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করলেন।
এদিন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, আমি যখন বিধায়ক ছিলাম সব পার্টির বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতাম। তৃণমূলের গরু চুরি, কয়লা চুরি, বালি চুরির টাকার ভাগ নিয়েছে। তৃণমূলের সব সুবিধা নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোলে বড় হয়েছেন। ২০২১ সালের বিজেপি। কারো কারো পেট ব্যথা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক রাত কাটায় তৃণমূলের বাড়িতে এক রাত কাটায় বিজেপির বাড়িতে, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
আগামী বছর বিধানসভার ভোট। এবার রাজ্যে এসে ১০ দিনের লম্বা সফর করে গিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ইতিমধ্যে কোন কেন্দ্রে কে কে প্রার্থী হতে পারেন তার একটি তালিকা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমাও পড়েছে। বাংলাদেশ, ওয়াকফ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপি হিন্দুত্বের মেরুকরণের পথেই হাঁটছে। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, এটা তৃণমূল সরকারের মাস্টারস্ট্রোক। সেই উদ্বোধনে বিজেপির রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মুখ দিলীপ ঘোষের হাজির হওয়াতে চরম অস্বস্তি বিজেপি। এমনিতে রাজ্য বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দ্বন্দ্ব সুবিদিত। তার মধ্যে এই ঘটনায় বিজেপির অন্দরে চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে। দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট বলছেন এটা সৌজন্য। আবার একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর মতো রাজ্য নেতাদের আক্রমণ করছেন। ২০২১ সালের পর থেকে বিজেপির জাহাজ ক্রমশ টলমল করছে। একসময় বাংলার রাজনীতিতে ‘সিপিএমকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেব’ ডায়লগ জনপ্রিয় ছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, দিলীপের এই স্টান্ট দীঘার সমুদ্রে কি বেজিপেক ডোবানোর পক্ষে যথেষ্ট?
দেখুন অন্য খবর: