নয়াদিল্লি: মালদহের পর এবার মুর্শিদাবাদ দিল্লিতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে তিন শ্রমিকের। সামশেরগঞ্জ এবং ফারাক্কার মোট তিন শ্রমিক।মৃতদের নাম, গোকুল মন্ডল(৪৪), শুভঙ্কর রায়(৩১) এবং ইসরাইল শেখ(৩৩)।তাঁদের মধ্যে গোকুল মন্ডলের বাড়ি সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পৌরসভা এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাহারঘাঁটি এলাকায়। শুভঙ্করের বাড়ি ধূলিয়ানের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেতবোনা গ্রামে। এবং ইসরাইল সেখের বাড়ী ফরাক্কা থানার ইমামনগর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের উদ্দেশ্যে দিল্লির গাজিয়াবাদে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে গিয়ে যে যাঁর মতো করে কাজ খুঁজে শুরু করেছিলেন কাজ। সেরকমই শুক্রবার নিত্য দিনের মতো কাজ করছিলেন তাঁরা। সে সময়ই অসাবধানবশত বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে প্রাণ হারান ওই তিন জন শ্রমিক। এরপর স্থানীয়রা তাঁদের তড়িঘড়ি করে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে. কিন্তু চিকিৎসকরা জানান যে তাঁরা মৃত।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ওপেন থিয়েটারে সারি সারি মদের বোতল
শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদের পরিবারের লোকেরা।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী হলেন তাঁরা। শনিবার সকাল থেকেই মৃত পরিবারগুলোতে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লীর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরেই দেহ বাড়ি নিয়ে আসা হবে।পরিবারের লোকরা জানিয়েছেন, তাদের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার মতো যেমন ক্ষমতা নেই ,তেমনি মৃতদেহ সৎকাজ করার ক্ষমতাও তাদের নেই।সরকারি সাহায্য তারা দাবি করছেন। এদিকে বিষয়টি শুনে এগিয়ে এসেছেন ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান। ওই পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য সম্প্রতি মালদহ থেকে মিজোরামে কাজ করতে গিয়ে ব্রিজ ভেঙে মৃত্যুর ঘটনায় ২৩ জনের ১১ জন ছিল বাংলার। শুক্রবার বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মালদহ গিয়েছিলেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। তার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রক নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ঘটনার নিন্দা করে কংগ্রেস নেতা বলেন কৌস্তভ বাগচী বলেন, এই রাজ্যে কাজ নেই বলেই ভিন্রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বাংলার শ্রমিকেরা। আমাদের দাবি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং নিহতদের পরিবারের পিছু একজনকে চাকরি দেওয়া হোক।